‘ইন্ডিয়া’ জোটের আহ্বায়ক পদে খাড়গে 

পাটনা, ১৩ জানুয়ারি – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব মতোই শেষমেশ ‘ইন্ডিয়া’ জোটের আহ্বায়ক হলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। সর্বসম্মতিক্রমে ইন্ডিয়া জোটের চেয়ারপার্সন হিসেবে বেছে নেওয়া হল তাঁকেই । শনিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে দীর্ঘ আলোচনার পর ঘোষণা করা হয়, কংগ্রেসের সভাপতিই জোটের চেয়ারপার্সন হবেন। বৈঠকে শনিবার আহ্বায়ক হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল জেডিইউ প্রধান নীতিশ কুমারকে। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাবে সায় দেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত না থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রস্তাবেই সিলমোহর পড়ে।

সূত্রের খবর, এ দিন ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে প্রথমে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকেই জোটের আহ্বায়ক হতে বলা হয়। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। নীতীশ কুমার নিজেই সুপারিশ করেন যে আহ্বায়ক পদটি শুধু কংগ্রেসের জন্যই রাখা উচিত।  এরপরই ইন্ডিয়া জোটের চেয়ারপার্সন হিসাবে মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে বেছে নেওয়া হয়। ইন্ডিয়া’র আগের বৈঠক হয়েছিল গত ১৯ ডিসেম্বর। মুখোমুখি সেই বৈঠকে মমতা প্রস্তাব দিয়েছিলেন, খাড়গেকে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হোক। মমতার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছিলেন আম আদমি পার্টি-র প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। 

এদিন জোটের ভার্চুয়াল বৈঠকে আরজেডি সভাপতি লালুপ্রসাদ যাদব , মল্লিকার্জুন খাড়গে , রাহুল গান্ধি , শরদ পাওয়ার, এম কে স্ট্যালিন , অখিলেশ যাদব, অরবিন্দ কেজরিওয়াল -সহ ১৪ টি বিরোধী দলের নেতা বৈঠকে যোগ দেন।  যদিও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে।


লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসলেও আসন ভাগাভাগি নিয়ে জট কাটেনি বিরোধী শিবিরের মধ্যে। সেই জট কাটাতেই শনিবার ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন ইন্ডিয়া জোটের সদস্যরা। তবে এই বৈঠকে ছিলেন না তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের কোন প্রতিনিধিকেও দেখা যায়নি এই বৈঠকে। উপস্থিত ছিলেন না মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরেও।

জোটের নেতৃত্ব নিয়ে জট কাটলেও, আসন ভাগাভাগি নিয়ে জট কাটেনি পঞ্চম বৈঠকেও। আসন্ন লোকসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে কোন স্ট্র্যাটেজিতে এগোনো হবে, কী কী এজেন্ডা নেওয়া হবে, কে আহ্বায়ক হবেন, এই সব নিয়ে আলোচনার জন্য এদিন ভার্চুয়ালি বৈঠকে বসে ইন্ডিয়া জোট। তবে শেষ মুহূর্তে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হওয়ায় তৃণমূলের তরফে কেউ যোগ দেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত না থাকায় বাংলার জোট পরিস্থিতিও অনিশ্চিত।