মালয়েশিয়া থেকে ফিরেই মৃত্যু কেরলের বাসিন্দার, করােনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা

প্রতিকি ছবি (File Photo: iStock)

করােনাভাইরাস বিধ্বস্ত মালয়েশিয়া থেকে ফেরার পরেই মৃত্যু হল কেরলের এক বাসিন্দার। এই নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বেড়েছে। কারণ এর আগে তিন কেরলের বাসিন্দার শরীরে করােনাভাইরাস পাওয়া গেলেও এঁরা চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। মালয়েশিয়া থেকে ফেরার পর যাঁর মৃত্যু হয়েছে তাঁর শরীরে করােনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। তারপরেও কেন মৃত্যু এই নিয়ে উদ্বগ বেড়েছে চিকিৎসক মহলে।

কেরলে মৃত্যু মালয়েশিয়া ফেরতের নতুন করে উদ্বগ তৈরি হয়েছে কেরলে। সম্প্রতি মালয়েশিয়া থেকে ফেরা এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে এর্নাকুলামের একটি হাসপাতালে। সেখানে আইসােলেশন ওয়ার্ডেই রাখা হয়েছিল তাঁকে। মালয়েশিয়া থেকে ফেরার পর তাঁর শরীরে কিন্তু কোনও করােনাভাইরাস মেলেনি। তারপরেও অসুস্থ ছিলেন তিনি। সাবধানতার কারণেই তাঁকে রাখা হয়েছিল এর্নাকুলামের আইসােলেশন ওয়ার্ডে। সেখানেই মারা যান তিনি। 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি নিউমােনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার সঙ্গে শ্বাসকষ্টও ছিল। কিন্তু তারপরেও স্বাস্থ্য দফতর তাঁর রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। করােনাভাইরাসেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে কিনা সেটা সুনিশ্চিত করতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর। 


করােনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে প্রথম থেকেই সতর্ক পদক্ষেপ করেছে ভারত। একাধিক বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা। সেখানে বাইরে থেকে আসা সব যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। এমনকী নেপাল, বাংলাদেশ, ভুটান সীমান্ত গুলিতেও যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। চিন থেকে আসা তিন জন কেরালার বাসিন্দার শরীরে করােনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। তাঁদের চিরিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

চিনের উহান থেকে ভারতীয়দের উদ্ধার করা হলেও ইরানে আটকে রয়েছে অসংখ্যা ভারতী। সেখানে ডাক্তারি পড়তে যাওয়া কাশ্মীরি ছাত্রছাত্রীরা উদ্ধারের কাতর আবেদন জানিয়েছেন সােশ্যাল মিডিয়ায়। ভারত থেকে তীর্থ করতে যাওয়া অসংখ্য কাশ্মীরি এবং লাদাখের বাসিন্দা আটকে পড়েছেন ইরানে। সেখান থেকে তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে ইরানে নিযুক্ত ভারতের দূত।