তিরুবনন্তপুরম, ২৫ মার্চ- গবেষণার পরিধি ঠিক করা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এ প্রসঙ্গে এবার কেরলের কেন্দ্রীয় বোর্ড অব স্টাডিজের পদ ছাড়লেন অধ্যাপক মীনা টি পিল্লাই। নির্দেশ জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছিল জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন এমন বিষয় নিয়েই গবেষণা করা যাবে। এ মাসের ১৪ তারিখ জারি হওয়া সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, প্রতিটি বিভাগের প্রধানকে জানানো হচ্ছে, আপনারা শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনায় বসুন। ঠিক করুন, জাতীয় স্বার্থ রক্ষিত হয় এমন বিষয়ে গবেষণা করতে কী কী প্রয়োজন?
যাঁরা গবেষণা করতে আসছেন তাঁরা যেন জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য নিজেদের পছন্দের বিষয় বেছে নেন। বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিক মনে হলে গবেষকদের উৎসাহ দেবেন না।
মীনা জানিয়েছেন, নির্দেশিকাটি পড়ে আমি চমকে গিয়েছিলাম। এমন একটা নির্দেশ কিভাবে জারি করা যেতে পারে ভেবে তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলাম। আরও অদ্ভুত বিষয় হল, তা নিয়ে কেউ কোনো আলোচনা করছেন না। এই নির্দেশ পরে আমার পদত্যাগ করা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না । আমার নিজেরই মনে হয়েছে এই পদক্ষেপের কোনো তাৎপর্য নেই। কিন্তু আমি ইস্তফা দেয়া ছাড়া আর কিছু করতে পারতাম না।জাতীয় স্বার্থ বা দেশের পক্ষে যা গুরুত্বপূর্ণ তা কে ঠিক করে? আর গবেষণাকেই তার মধ্যে আবদ্ধ করে রাখা হবে কোন যুক্তিতে?
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভডেকরকে রবিবার নিশানা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রীসভার প্রচন্ড বুদ্ধিমান এই মন্ত্রী বলে দেবেন, কে কোন বিষয় নিয়ে গবেষণা করবেন আর কোন বিষয় নিয়ে গবেষণা করবেন না। অল্প বিদ্যা যে ভয়ঙ্করী, তা পদে পদে প্রমাণ করছেন মোদির মন্ত্রীরা। ট্যুইট করে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রককে একহাত নিয়েছেন তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুরও।