দিল্লি, ১৭ ফেব্রুয়ারি – অবশেষে ইডির কাছে হাজিরা দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে সশরীরে নয়, ভার্চুয়ালি হাজিরা দিয়েছেন তিনি। ইডির আবেদনের ভিত্তিতে ১৭ ফেব্রুয়ারি সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লির বিশেষ আদালত। কেন তিনি বারবার হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছেন তার কারণও জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যদিও কেজরিওয়াল এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজিরা দেন।শনিবার সকালে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ইডির কাছে হাজিরা দেন।
৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ৩৬ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। বিজেপির রয়েছে মাত্র ৮ জন বিধায়ক, আপের ৬২। এই পরিস্থিতিতে ২৮ জন আপ বিধায়ককে দলে টানা বিজেপির পক্ষে অসম্ভব বলে মনে করছে রাজনীতিবিদদের একাংশ।
শুক্রবারই আস্থা ভোটের প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিন আম আদমি পার্টির ৬২ জন বিধায়কের মধ্যে ৫৪ জন আস্থা ভোটে উপস্থিত ছিলেন। ধ্বনি ভোটে গৃহীত হয় ভোট। প্রত্যাশামতো ভোটে জয়ী হয় কেজরিওয়ালের দল।
সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও আস্থা ভোট কেন এর জবাবে কেজরিওয়ালের মন্তব্য, ”কক্ষে আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবুও আস্থা ভোট দরকারি, কারণ বিজেপি আপ বিধায়কদের কিনে নেওয়ার চেষ্টা করছে।” প্রসঙ্গত, কেজরিকে এর আগে বলতে শোনা যায়, তাঁর কাছে দুই আপ বিধায়ক আগেই অভিযোগ জানিয়েছেন, বিজেপির তরফে দলীয় প্রতিনিধিদের টাকার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ”ওঁরা বিধায়কদের ২৫ কোটি টাকার টোপ দিয়েছেন বিজেপিতে যোগ দিতে। পরে আমরা খোঁজ করে দেখেছি, ২১ নয়, ৭ জন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বিজেপি।”
এদিন দিল্লি বিধানসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন কেজরিওয়াল। তাঁর কটাক্ষ, ‘রামভক্ত’ বিজেপি হাসপাতালে গরিব মানুষদের ওষুধ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, ”যদি এবার বিজেপি জিতেও যায়, ২০২৯ সালে আপ দেশকে বিজেপিমুক্ত করবেই।”