কেজরিওয়ালের স্বস্তি মিলল না হাইকোর্টেও, জামিন স্থগিত

দিল্লি, ২৫ জুন– নিম্ন আদালতের রায়ে মুক্তি পেলেও তা খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট৷ এরফলে আপাতত জেল থেকে বেরতে পারবেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ মঙ্গলবার কেজরিওয়ালের জামিনে স্থগিতাদেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট৷ আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল কেজরিওালকে৷ নিম্ন আদালত জামিন দিলেও দিল্লি হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে মুক্তি পাননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী৷ মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সুধীর কুমার জৈনের বেঞ্চে৷ গত ২০ জুন ট্রায়াল কোর্ট কেজরীবালের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে৷ এরপরই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ তাদের দাবি ছিল, তদন্তকারী সংস্থার কথাই শোনেনি ট্রায়াল কোর্ট৷ সেই যুক্তিতেই এদিন মান্যতা দিয়েছে হাইকোর্ট৷
স্থগিতাদেশ দেওয়ার সময় আদালত বলে, যেসব নথি এবং যুক্তি পেশ করা হয়েছিল বিচারাধীন আদালতের বিচারক তা সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারেননি৷ যার ফলে হাইকোর্ট আগের রায় স্থগিত রাখা হল৷
হাইকোর্ট আরও বলেছে, বিচারাধীন আদালত গভীরভাবে গুরুত্ব বিচার করতে পারেনি৷ তথ্যপ্রমাণকে মন দিয়ে পডে় দেখেনি৷ তাই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের জামিন মঞ্জুরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আনা আবেদনে সিলমোহর দেয় হাইকোর্ট৷ জুলাই মাসে নির্ধারিত চূড়ান্ত শুনানি পর্যন্ত আপাতত তিহার জেল থেকে মুক্তি মিলছে না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর৷
জানিয়ে রাখি, গত ২১ মার্চ দিল্লির আবগারি দূর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত মে মাসে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছিল তাঁকে৷ ভোট প্রচারে যাতে তিনি অংশ নিতে পারেন, সেই কারণেই জামিন দেওয়া হয়েছিল তাঁকে৷ ভোটপর্ব শেষ হওয়ার পর গত ২ জুন তিহাড় জেলে ফিরে যান মুখ্যমন্ত্রী৷
এরই মধ্যে জামিনের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কেজরিওয়াল৷ কেন তাঁর জামিন আটকে দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি৷ তবে সুপ্রিম কোর্ট সোমবার জানিয়ে দেয়, হাইকোর্টে মামলা বিচারাধীন হওয়ায়, তাতে হস্তক্ষেপ করবে না শীর্ষ আদালত৷