দিল্লি, ২৩ মে – স্বাতী মালিওয়াল নিগ্রহের তদন্তে দিল্লি পুলিশ আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাবা-মাকে হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার কেজরির মন্ত্রিসভার সদস্য অতিশী ওই অভিযোগ তোলার পরই দিল্লি পুলিশ জানিয়ে দেয় কেজরির বাবা-মাকে বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না।
স্বাতী মালিওয়াল নিগ্রহের তদন্তে বৃহস্পতিবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাবা-মাকে জেরা করার সম্ভাবনা তৈরী হয়। বৃহস্পতিবার সকালেই দিল্লি পুলিশের একটি দল মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছে যেতে পারে বলে আপ দলীয় সূত্রে ইঙ্গিত দেওয়া হয়। বুধবার, ২২ মে , কেজরিওয়াল নিজেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন দিল্লি পুলিশ তাঁর অসুস্থ বাবা-মাকে বৃহস্পতিবার জেরা করতে চায়। সূত্রের খবর, এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়ালকেও দিল্লি পুলিশ জেরা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল।স্বাতী মালিওয়াল নিগ্রহের তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য কেজরিওয়ালের সিভিল লাইন বাসভবনে তাঁদের বৃহস্পতিবার সকালে থাকতে বলা হয়েছিল।
দিল্লি পুলিশ বুধবার ইঙ্গিত দেওয়ার পরই কেজরি এক্স-এ লেখেন, ‘‘আগামিকাল দিল্লি পুলিশ বাড়িতে এসে আমার বৃদ্ধ এবং অসুস্থ বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।’’ বৃহস্পতিবার সকালে কেজরির বাড়িতে যান আপের প্রথম সারির নেতারা। তারপরেই দলের তরফে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাবা-মাকে নিগ্রহের অভিযোগ তোলা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালেও কেজরিওয়াল সোশাল মিডিয়ায় তাঁর মায়ের ছবি পোস্ট করেন ৷ দলের তরফে লেখা হয়, “ইনি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মা ৷ সম্প্রতি তিনি কেজরিওয়ালের সঙ্গে প্রভু রামের দর্শন করতে গিয়েছিলেন ৷ দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি অসুস্থ ৷ তাঁর হাঁটাচলার জন্য সাহায্যের প্রয়োজন হয় ৷ আজ স্বৈরাচারী মোদি জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাঁদের প্রতারিত করতে পুলিশ পাঠাচ্ছে ৷”
এরপরই জানা যায় দিল্লি পুলিশ বৃহস্পতিবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাবা – মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে না।
অভিযোগ, গত ১৩ মে স্বাতী মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। বসার ঘরে তিনি যখন অপেক্ষা করছিলেন, তখন কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব বিভব কুমার তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। মালিওয়াল পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি বারবার বিভবকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছিলেন, কিন্তু তিনি শোনেননি। এরপরই স্বাতী সেখান থেকে বেরিয়ে থানায় অভিযোগ জানান। ১৬ মে দিল্লি পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেন স্বাতী। সে রাতেই স্বাতীর মেডিক্যাল পরীক্ষাও করানো হয়েছিল দিল্লির এমসে। ১৭ মে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারার অধীনে স্বাতী নিজের বয়ান নথিভুক্ত করেন।১৮ মে পুলিশ বিভবকে গ্রেফতার করে ৷ ২১ মে, মঙ্গলবার বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করে দিল্লি পুলিশ ৷