দিল্লি, ১৯ জুন – আবগারি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল আগামী ৩ জুলাই পর্যন্ত। বুধবার কেজরির জামিন মামলায় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দিল্লির আদালতে ইডি দাবি করেছে, আবগারি দুর্নীতিতে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ১০০ কোটির ঘুষ চাওয়ার প্রমাণ রয়েছে তাঁদের হাতে। দিল্লির আদালতে ইডির দাবি, এরপরই রাউস অ্যাভিনিউ আদালত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিনের আবেদন নাকচ করে দেয়।
লোকসভা নির্বাচনের আগে গ্রেফতার হলেও ভোটের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিন পেয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ১ জুন সেই অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি ফের জেলে ফিরে যান। সেই হেফাজতের মেয়াদ বুধবারই শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে জামিন পেলেন না তিনি। ইডি আদালতে দাবি করেছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী যে আবগারি ইস্যুতে ১০০ কোটি টাকার ঘুষ চেয়েছিলেন তা সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে। এমনকী সেই অর্থ কেজরিওয়াল যে দলের জন্য খরচ করবেন সেই তথ্যও তাঁদের হাতে আছে ।
কেজরিওয়ালের আইনজীবীর পাল্টা দাবি ছিল, ১০০ কোটি টাকা তো দূরের কথা, অর্থের লেনদেনের কোন প্রত্যক্ষ কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থারা। যে অভিযোগগুলি করা হয়েছে সেগুলি এমন ব্যক্তিরা করেছেন যাঁরা নিজেরাই এই মামলায় অভিযুক্ত। তিনি এও বলেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যাঁরা অভিযোগ করেছেন তাঁদের জামিন পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁরা কতটা সত্যি কথা বলছেন, তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে।
ইডির আইনজীবী কেজরিওয়ালের জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে বলেন, অর্থ তছরুপ হয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তদন্তের বিষয়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর এতে ভূমিকা কী ছিল। তিনি যে কোনও অপরাধ করেননি তা কেজরিওয়াল বা তাঁর কোন আইনজীবীর বক্তব্যে পাওয়া যায়নি। সুতরাং এটা স্পষ্ট , তাঁরা নিজেরাও অবহিত নন আসল বিষয়টি কী। দুই পক্ষের যুক্তি, পাল্টা যুক্তি শুনে আদালত কেজরিওয়ালের ১৪ দিন জেল হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছে । ৩ জুলাই পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতেই থাকতে হবে তাঁকে।