• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

সিসোদিয়ার পর দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় জামিন কে কবিতার 

অবশেষে মুক্তি পেলেন বিআরএস নেত্রী কে কবিতা। দীর্ঘ ৫ মাস জেলবন্দি থাকার পর  দিল্লির  আবগারি মামলায় গ্রেপ্তার কে কবিতার জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। তিনি প্রথমে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন, পরে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নেয়। মঙ্গলবার ইডি এবং সিবিআই, দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মামলাতেই জামিন পেলেন তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-এর কন্যা।

অবশেষে মুক্তি পেলেন বিআরএস নেত্রী কে কবিতা। দীর্ঘ ৫ মাস জেলবন্দি থাকার পর  দিল্লির  আবগারি মামলায় গ্রেপ্তার কে কবিতার জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। তিনি প্রথমে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন, পরে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নেয়। মঙ্গলবার ইডি এবং সিবিআই, দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মামলাতেই জামিন পেলেন তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-এর কন্যা। প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই শীর্ষ আদালতের নির্দেশে জামিন পেয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। যদিও এই মামলায় এখনও জেলবন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

 
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে কবিতার জামিনের মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে বেঞ্চ, ইডি এবং সিবিআইকে প্রশ্ন করে, আবগারি মামলায় যে কবিতা জড়িত ছিলেন, তার প্রমাণ হিসেবে তাঁদের কাছে কী ‘তথ্যপ্রমাণ ’ রয়েছে ? অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু আদালতে জানান, কবিতা নিজের মোবাইল ফোন ফরম্যাট করেছিলেন। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানান তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী রাজু। যদিও সেই অভিযোগ ‘ভুয়ো’ বলে আদালতে জানিয়েছেন কবিতার আইনজীবী মুকুল রোহতগি। সরকার পক্ষের দাবি খণ্ডন করে কবিতার আইনজীবী মুকুল রোহতগি জানান, নিজের ফোন যে কেউ বদলাতে পারেন। কে কবিতার বিরুদ্ধে নিজের মোবাইলে তথ্য নষ্ট করার যে অভিযোগ উঠেছে তার কোন ভিত্তি নেই।
 
দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর শীর্ষ আদালত জানায়, এখনও পর্যন্ত এই মামলায় যে প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে তাতে মনে হয় না কবিতাকে হেফাজতে রাখার প্রয়োজন রয়েছে। এদিকে মুকুল রোহতগি জামিনের পক্ষে সওয়াল করে বলেন, এক জন মহিলাকে জামিন দেওয়া যেতেই পারে। উনি দেশের একজন দায়িত্বশীল মহিলা। যে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে তাতে তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবেন। কে কবিতা একজন প্রাক্তন সাংসদ। ফলে তাঁর পালিয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা নেই। এর পরই কবিতার জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট।

দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ১৫ মার্চ দুপুরে কবিতার হায়দরাবাদের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। চলে তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ। তার পর বিকেলে বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। গত ডিসেম্বরে মণীশ সিসৌদিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত অমিত আরোরা নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সূত্রের খবর, তখনই তারা জানতে পারে, এই মামলায় যুক্ত কবিতা। এই মামলায় ইডি দাবি করেছিল, দিল্লির আবগারি নীতিতে বিশেষ সুবিধা পেতে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন কবিতা। সুবিধা পাওয়ার বিনিময়ে তিনি আপ নেতাদের ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছে ইডি।

উল্লেখ্য, ১৫ মার্চ হায়দরাবাদে কবিতার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইডি। অভিযোগ তোলা হয়, দিল্লির আবগারি নীতিতে বিশেষ সুবিধা পেতে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন তিনি। সুবিধা পাওয়ার বিনিময়ে তিনি আপ নেতাদের ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছে ইডি। ইডির পর ১১ এপ্রিল জেলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। এই মামলায় অবশেষে জামিন পেলেন বিআরএস নেত্রী।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়েকে মার্চ মাসে দিল্লি আবগারি মামলায় গ্রেপ্তার করে ইডি। এর একমাস পর তাঁকে দ্বিতীয়বার গ্রেপ্তার করে সিবিআই। এরপর  বার বার জামিনের আবেদন জানিয়ে ছিলেনও হতাশ হন কে কবিতা। দিল্লি হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন কবিতা। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। গত ১২ আগস্ট শীর্ষ আদালত ইডি এবং সিবিআইয়ের কাছে কবিতার জামিনের বিরোধিতা করার ব্যাখ্যা চেয়েছিল।

সম্প্রতি এই মামলায় জামিন পেয়েছেন মণীশ। মঙ্গলবারের শুনানিতে সেই জামিনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন কবিতার আইনজীবী। শুনানি শেষে কে কবিতার জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট।