ইঞ্জেকশনের ওভারডোজে মৃত্যু হল ৭ বছরের শিশুর। শনিবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের চিকমাগালুর জেলায়। মৃত শিশুটি সোনেশ আজমপুরা শহর লাগোয়া কেনচাপুরা গ্রামের বাসিন্দা। সোনেশের বাবা অশোক আজমপুরা থানায় এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই চিকিৎসক প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, দিন কয়েক আগে সোনেশের ধুম জ্বর আসে। তার পরে তার বাবা-মা তাকে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যান। অশোক বলেছিলেন যে ডাঃ বরুণ সোনেশের পিঠে একটি ইঞ্জেকশন দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। সোনেশের পিঠে ফোসকা দেখা দেয়। পরে তাকে শিবমোগার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। দুর্ভাগ্যবশত শুক্রবার ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তার।
সোনেশের বাবা-মায়ের অভিযোগ, ইঞ্জেকশনের ওভারডোজের কারণে তাদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। বরুণের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন তারা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বরুণের ব্যাচেলর অফ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (বিএএমএস) ডিগ্রি রয়েছে। তবে রোগীদের ইঞ্জেকশন দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর ছিল না।
পুলিশ সূত্রে খবর, ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ডাক্তারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
গত ৫ জুলাই কর্ণাটকের দাভানাগেরে জেলায় সিজারিয়ান ডেলিভারির সময় এক শিশুর মৃত্যু হয়। দোষী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় পরিবার। শিশুটির আত্মীয়রা চিগাত্রি জেলা হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখা।
তার আগে গত ৫ জুন বেঙ্গালুরুর এস আর নগর পুলিশ একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির মামলা দায়ের করে৷ ওই হাসপাতালে অতিরিক্ত অ্যানাস্থেসিয়ার কারণে ৭ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়৷
২০২৩ সালের আগস্টে, কর্নাটক রাজ্য গ্রাহক বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন একটি নামী হাসপাতাল এবং একজন পেডিয়াট্রিক সার্জনকে ১৬ মাস বয়সী ছেলের মৃত্যুর জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।