• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

কঙ্গনার মোদি স্তুতি, মোদিকে ভগবান রামের সঙ্গে তুলনা

মাণ্ডি, ১ এপ্রিল– তিনি জাত অভিনেত্রী৷ অভিনয়ে নিজের ছাপ ফেলেছেন৷ এখড় তিনি রাজনীতির ময়দানে৷ যদিও নবাগতা কিন্তু তাতে কি৷ অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত হাবভাবে-বক্তৃতায় বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি রাজনীতিতেও কম জান না৷ ভোট প্রচারের মাঠে কখনও তাঁর কণ্ঠে নারীশক্তির উন্নয়ন, আবার কখনও বা স্বামী বিবেকানন্দর কথা৷ এবার বিজেপির তারকা প্রার্থীর মুখে মোদি-স্তুতি৷ একেবারে ভগবানের সঙ্গে মোদিকে সমান

মাণ্ডি, ১ এপ্রিল– তিনি জাত অভিনেত্রী৷ অভিনয়ে নিজের ছাপ ফেলেছেন৷ এখড় তিনি রাজনীতির ময়দানে৷ যদিও নবাগতা কিন্তু তাতে কি৷ অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত হাবভাবে-বক্তৃতায় বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি রাজনীতিতেও কম জান না৷ ভোট প্রচারের মাঠে কখনও তাঁর কণ্ঠে নারীশক্তির উন্নয়ন, আবার কখনও বা স্বামী বিবেকানন্দর কথা৷ এবার বিজেপির তারকা প্রার্থীর মুখে মোদি-স্তুতি৷ একেবারে ভগবানের সঙ্গে মোদিকে সমান করে বোঝাতে চেয়েছেন তিনি৷ এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘ভগবান রামচন্দ্রের অংশ’ বললেন কঙ্গনা৷
সিনেপর্দার বাইরে রাজনৈতিক ময়দানেও কঙ্গনা রানাউত যেন ‘মণিকর্নিকা’৷ গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীপদ পেতেই কোমর বেঁধে নেমে পডে়ছেন৷ শনিবার মাণ্ডির বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার চালান কঙ্গনা রানাউত৷ সেখানেই তিনি বলেন, “আজ আমি এখানে নরেন্দ্র মোদির দূত হিসেবে এসেছি৷ আমাকে দেওয়া আপনাদের এক-একটা ভোট প্রধানমন্ত্রীর জন্য আশীর্বাদ হবে৷ একবার ভাবুন, যে কাজটা বিগত ৫০০ বছর ধরে আটকে ছিল, সেটা একমাত্র নরেন্দ্র মোদির আমলেই সম্ভব হল৷ মোদি যখন প্রধানমন্ত্রীর আসনে, তখনই রামের কৃপায় এত বছরের অপেক্ষার অবসান৷ রামমন্দির তৈরি হল৷ আমি ওঁর মধ্যে ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের অংশ দেখতে পাই৷ আর আমি মোদির সৈনিক৷ সেই কাঠবেড়ালি, যে রামসেতু নির্মাণে যোগ দিয়েছিল৷ আমিও এই দলে যোগ দিয়ে সেই কাজওই করতে চলেছি৷”
এরপরই কঙ্গনার সংযোজন, “বিজেপি আমাকে মাণ্ডি থেকে প্রার্থী করেছে৷ তাই আমার দায়িত্ব বর্তায় আমি আপনাদের সমবেত কণ্ঠ হয়ে সংসদে সমস্যাগুলো তুলে ধরতে পারি৷ আমার বিশ্বাস, আপনাদের সমস্ত অভাব-অভিযোগ খতিয়ে দেখে শীর্ষ নেতৃত্বরা ইচ্ছেপূরণ করবে৷ কংগ্রেসের লোক আপনাদের ভুল বোঝাতে আসবে যে, কঙ্গনা মুম্বইতে ফিরে যাবে আর আসবে না৷ এইসমস্ত লোকদেরই ভোটবাক্সে সপাট উত্তর দিতে হবে৷”
এর আগে শুক্রবার হিমাচলি ভূমিকন্যা মাণ্ডির মেগা রোড শো থেকেই হুঙ্কার ছাডে়ন, “আমি এখানে হিরোইন নই, আমি মাণ্ডির মেয়ে৷” বক্স অফিসে বছরখানেক ধরেই মন্দা বাজার যাচ্ছে কঙ্গনা রানাউতের৷ হিটের মুখ দেখেননি বহুদিন হল! তবে ফিল্মিবাজারের ‘ফ্লপ পিচ’ থেকে রাজনৈতিক ময়দানে উত্তরণ হতেই যেন ফের রণংদেহি মেজাজে পর্দার ‘মণিকর্নিকা’৷ পয়লা ভোটপ্রচারেই জানিয়ে দিলেন যে, জিতলে কিংবা জনতা চাইলে তিনি পূর্ণসময়ের রাজনীতিক হবেন এবং মাণ্ডির মানুষের মঙ্গলসাধনে ব্রতী হবেন৷ নিজের রাজনৈতিক আদর্শ, অনুপ্রেরণার কথাও জানান কঙ্গনা রানাউত৷ তিনি বলেন, “আমি স্বামী বিবেকানন্দর ভক্ত৷ উনিই আমার মধ্যে জাতীয়তাবোধ জাগিয়েছেন৷ সাধগুরুজি, যাঁর অনুপ্রেরণায় আমি কর্মযোগী হয়েছি৷ আরেকজন মানুষ, যিনি আমার জীবনদর্শনকে দারুণভাবে প্রভাবিত করেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ এঁরাই আমার আদর্শ৷”