ভিনেশের এই সময় কঙ্গনার কটাক্ষ, চক্ষুশূল সোশ্যাল মিডিয়ার 

একজন পর্দার ‘কুইন’ অন্যজন কুস্তির। যদিও পর্দার কুইন কঙ্গনা রানাওয়াতের  সময় এখন খুবই ভালো যাচ্ছে। নায়িকা থেকে সাংসদ। কিন্তু অন্যজন অর্থাৎ ভিনেশ ফোগতের ভাগ্যে অলিম্পিক থেকে বিদায়ের কালো মেঘ। দু’জন্যেই দুই জগতের বাসিন্দা। তবুও কঙ্গনা রানাওয়াত ভিনেশ সম্পর্কে কটাক্ষ করে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রে।

মঙ্গলবারই প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসাবে অলিম্পিক্সে কুস্তির ফাইনালে উঠেছিলেন ভিনেশ। তারপর তাঁর স্বপ্ন ভঙ্গ, ভিনেসের সঙ্গেই ভারতের স্বপ্নভঙ্গ। কিন্তু তারপরও তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি সাংসদ।

ফাইনালে উঠেও স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ভিনেশ ফোগতের। ১০০ গ্রাম ওজন বেশি থাকায় ৫০ কেজি বিভাগের ফাইনালে নামতে দেওয়া হবে না তাঁকে। এই খবর পাওয়ার পর সমগ্র দেশবাসীই হতাশ এবং কার্যত ভেঙে পড়েছে। তবে এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই ভিনেশকে খোঁচা দিয়েছিলেন কঙ্গনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তাঁকে মনে করিয়েছিলেন কুস্তিগিরদের আন্দোলনের কথা।


ব্রিজভূষণ সিংয়ের পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলনে নেমেছিলেন ভারতীয় কুস্তিগিরদের একাংশ। তাতে ছিলেন ভিনেশ ফোগতও। দিল্লির যন্তর-মন্তরে তাঁরা ধর্নাও দেন। অলিম্পিক্সের ফাইনালে উঠে যখন ভিনেশ ইতিহাস রচনা করেছেন তখনই তাঁকে কটাক্ষ করে পোস্ট দেন কঙ্গনা। বলেন, ”একসময় ভিনেশ প্রতিবাদে সামিল হয়ে ‘মোদি তোমার কবর খুঁড়ব’ স্লোগান দিয়েছিলেন। তারপরও তিনি উচ্চমানের প্রশিক্ষণ, প্রশিক্ষক এবং নানা সুযোগসুবিধা পেয়ে অলিম্পিক্স যেতে পারেন। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য, এটাই মহান নেতার উদাহরণ।” স্বাভাবিকভাবেই এমন একটা সময়ে কঙ্গনার এই মন্তব্যকে কেউই ভালভাবে নেননি।

ভিনেশ ফোগতকে বাতিল করায় বিশ্ব কুস্তি সংস্থায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারতীয় অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আইওএ-কে এ বিষয়ে পদক্ষেপের নির্দেশও দিয়েছেন। আইওএ-র প্রেসিডেন্ট পিটি উষা প্যারিসে রয়েছেন। ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই গোটা ঘটনায় আবার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন ভিনেশের পরিবার। তাঁদের দাবি, ১০০ গ্রাম ওজন কমানোর জন্য তাঁকে ১০ মিনিট সময়ও দেওয়া হয়নি। এখানে রাজনীতি হয়েছে! ভিনেশ ফোগত হলেন প্রথম কুস্তিগির যিনি ফাইনাল থেকে ওজন বেশি হওয়ার কারণে বাদ পড়লেন।