মেয়ে প্রেসিডেন্ট হোক কামনা করে কমলার ভারতের গ্রামে পুজো-প্রার্থনা

বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো গণতন্ত্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর এই  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনার পারদ চরমে। দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে ভারতীয় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। আগামী চার বছরের জন্য কে বসবেন প্রেসিডেন্ট পদে, প্রহর গুনছে গোটা বিশ্ব। এবার লড়াই মূলত রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বনাম ডেমোক্রাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের। আর এই হ্যারিসের জয় প্রার্থনা করেই সেজে উঠেছে ভারতের একটি ছোট্ট গ্রাম, যে গ্রামে রয়ে গেছে ডেমোক্রাট প্রার্থীর শিকড়। তামিলনাড়ুর তিরুবারুর জেলার এক অখ্যাত কমলা হ্যারিসের পৈতৃক গ্রাম। হ্যারিসের সাফল্য কামনা করে তৈরী হয়েছে বিশালাকৃতির ব্যানার, যেখানে হাসি মুখে কমলার উপস্থিতি সবার চোখে ধরা দিচ্ছে। 

 
তামিলনাড়ুর তিরুবারু জেলার ছোট্ট গ্রাম থুলাসেন্দরাপুরম। গ্রামবাসীর একটাই প্রার্থনা, কমলা হ্যারিস যেন ট্রাম্পকে হারিয়ে নির্বাচনে জয়ী হন এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হন। এই প্রার্থনা নিয়েই মঙ্গলবার সকালে গ্রামবাসীরা শ্রী ধর্মা সান্থা মন্দিরে পুজো দেন। কারণ এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কমলা হ্যারিসের পরিবার।  কমলা হ্যারিস আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে , তিনিই হবেন প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট , প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা প্রেসিডেন্ট এবং প্রথম দক্ষিণ এশিয়া বংশোদ্ভূত প্রেসিডেন্ট। 
 
থুলাসেন্দরাপুরমে থাকতেন কমলার দাদু পিভি গোপালন। তিনি ভারতের প্রাক্তন কূটনীতিক ছিলেন। তাঁরই মেয়ে শ্যামলা গোপালন কমলার মা।  তিনি ২২ বছর বয়সে আমেরিকা পাড়ি দেন। ২০২০ সালের আগস্টে কমলা হ্যারিস যখন ডেমোক্র্যাটদের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনোনীত হন তখন গ্রামে পালন করা হয় অকাল দীপাবলি। পরে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে গ্রামে উৎসবের আয়োজন করা হয়।
 
গ্রামের কাউন্সিলর আরুল মোঝি বলেন, ‘এই মাটির মেয়ে নির্বাচনে জয়ী হন এটাই সবার প্রার্থনা। তাঁর পূর্বপুরুষরা আমাদের গ্রামের। আমরা মনেপ্রাণে চাই তিনি জয়ী হন।’  গ্রামে কাউন্সিলরের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ অভিষেকের। চন্দনকাঠ , হলুদ দিয়ে  হবে অভিষেক। শ্রী ধর্মা সান্থা মন্দিরের দেবতা কমলার পরিবারের কুলদেবতা। আর এই কুলদবতার উদ্দেশেই করা হয়েছে বিশেষ পূজা অর্চনার আয়োজন।