বর্ষায় অজানা কালিম্পঙের পবঙ্গ গ্রাম

পার্থময় চট্টোপাধ্যায়

অফিস যাবার পথে এফ এম এ একটা গান শুনছিলাম, আর গানটা শুনেই মন নেচে উঠলো রডোডেনড্রনের দেশ অর্কিড , এনথোরিয়ামের দেশে যাবার জন্য , গানটা ছিল…
“শহরের উষ্ণতম দিনে……
…রডোডেনড্রন
তোমায় দিলাম আজ”।

কলকাতায় বর্ষা ঢোকেনি জুন মাসের শেষ সপ্তাহেও, কবে ঢুকবে সেটাও কেউ জানেনা, ভুলভাল প্রচার শুনতে শুনতে আমি ক্লান্ত। গাড়ি এক পাশে রেখে ফোন করলাম স্বায়ত আর অভিনন্দনকে, কনফারেন্স কলে, দুজনকে জানালাম আগামী সপ্তাহে রেডি হতে, পাহাড় ডাকছে আমায়… কথা শেষ করবার আগেই ওরা জানালো যে আজ বিকেল ৫ টায় ওরা যাচ্ছে ইয়ং মাকুম আর পবঙ্গ । ব্যাস আর কি! গাড়ি ঘুরিয়ে সোজা বাড়ি, ব্রাম্হনীকে বললাম অফিসের জরুরি কাজে শিলিগুড়ি যেতে হবে তাই ফিরে এলাম যাবার প্রস্তুতি করতে। ব্রাম্হনি রাত্রের ট্রেনের খাবার দেবার কথা ভাবতে লাগলো কিন্তু যখন শুনলো যে আমরা তিনজন আর ব্রাউনি যাচ্ছি তখন মিচকি হেসে বললো যাও কিন্তু রাত্রে গাড়ি তুমি চালাবেনা। হ্যাঁ, আমার ইদানিং রাত্রে হাইওয়েতে ড্রাইভিং করতে অসুবিধা হয়।

কলকাতার ৩৬ ডিগ্রি উত্তাপ ছেড়ে ব্রাউনিকে নিয়ে চললাম ফুল, প্রজাপতি আর পাখিদের দেশ পবঙ্গ।
বিকেল পাঁচটায় কলকাতা ছাড়লাম, স্বায়ত, অভিনন্দন, আমি সাথে ব্রাউনি নামের চকোলেট রঙের ইকোস্পোর্টস । বিরাটি দিয়ে ঢুকে কল্যাণী এক্সপ্রেস ধরে সোজা জাগুলিয়াতে জাতীয় সড়ক ১২ তে উঠলাম, আগে এই ১২ নং জাতীয় সড়কের নাম ছিল ৩৪ নং জাতীয় সড়ক। রাস্তার দু ধরে অজশ্র ও অসাধারণ সাজানো সব ধাবা। ধাবা গুলো ছিল আগে সব ঘাটিয়া পাতা বসার জায়গায় বসে রুটি তড়কা, পালক পনির খাবার জায়গা, গাড়ি চালক ও দূরপাল্লার বাস যাত্রী দেড় মাঝ পথে খাওয়ার জায়গা, আজ কিন্তু সেই ধাবা গুলো শুধু নামটাই ধাবা রেখে দিয়েছে, বাকি সব কিছুই এখন আধুনিক হোটেলের চেহারায় দাঁড়িয়ে আছে।
থামলাম কৃষ্ণনগর, ১১২ কিলোমিটার বাড়ি থেকে, তখন রাত্রি আটটা, হালকা খেয়ে এগিয়ে চললাম বহরমপুরের দিকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার, বাইপাস দিয়ে বহরমপুর টপকে মোরগ্রামের কাছে পাপ্পু দা দাবা তে থামলাম কফি খেতে। আমরা যখনি হাইওয়েতে ড্রাইভ করি তখন মিষ্টি জাতীয় কিছু খাইনা, এতে ঘুম এসে যায় বলে।
কি অপূর্ব এই ধাবা, অসাধারণ ভাবে সাজানো ও খাবার ভীষণ ভালো আর দাম খুব একটা বেশি নয়। যেমন মালদার কাছে পরদেশী ধাবায় গেলে এর সাজসজ্জা দেখলে মুগ্ধ হতে হয়। বড়ো বড়ো গাছ গুলোকে এতো সুন্দর করে সাজিয়েছে যে না দেখলে ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। ধাবার সামনে বিশাল উঠোন, খোলা আকাশের নিচে গাছের তলায় খাটিয়াতে বসে আর খেতে হয়না, একদম শীততাপ নিয়ন্ত্রিত তারকা খচিত আধুনিক ধাবা, যেখানে সাউথ ইন্ডিয়ান, নর্থ ইন্ডিয়ান ও চাইনিস খাবার পাওয়া যায় ।
বহরমপুর, মালদা,ইসলামপুর বাইপাস চালু হওয়াতে এগারো ঘন্টায় পৌঁছে গেলাম শিলিগুড়ি। ফারাক্কাতেও ভিড় ছিলো না। কার্নেশন ব্রিজ হয়ে কালিঝোরা দিয়ে পানবু ধারা পৌছালাম। সারা পথটাই বৃষ্টি আর কুয়াশা।
উত্তরবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ হয়ে গেছে আজ প্রায় দিন পোনেরো আগে, তবে টানা বৃষ্টি হচ্ছেনা। মেঘে ঢাকা আকাশ আর কুয়াশা চাপা চারপাশ নিয়ে চলেছি চার জনে, চার চাকায় চারটি রূপসী দের দেখতে। । প্রথমে পানবু ধারা পৌছালাম, কুড়ি কিলোমিটার হবে কালিঝোরা থেকে। সূর্যাস্ত ও সূর্য্যোদয় অসাধারণ, তিস্তার রূপ করোনেশন ব্রিজের দৃশ্য একটা জায়গা থেকে অপূর্ব লাগে। মেঘ কুয়াশায় বেশি দূর পর্যন্ত দৃষ্টি গেলো না। এখান থেকে ইয়ং মাকুম খুব কাছে, ফেরার দিন থাকবো।
পথের সৌন্দর্য্য দেখতে দেখতে , থামতে থামতে পবঙ্গ পৌছালাম বিকেল বিকেল, এই যাত্রায়ও সারা রাস্তা বৃষ্টি কুয়াশা আর মেঘে ঢাকা ছিল। পবঙ্গ এ তিনচার খানা হোমস্টে থাকলেও আমার মনের মতো হোমস্টে- ভট্টরাই হোমস্টে,কারণ আমি প্রথম এখানে এসেছিলাম মার্চ মাসে আর ভোরের কাঞ্চনজঙ্ঘার যে রূপ এখান থেকে পেয়েছিলাম তা ভোলার নয়। সেদিন দেখেছিলাম নীল আকাশের নিচে এক দুধ সাদা ঘুমন্ত বুদ্ধকে তার পদতলে এই আলো ঝলমল পবঙ্গকে আর আজ দেখছি মেঘে ঢাকা, কুয়াশা মাখা রূপসী গ্রাম্য রাজকন্যাকে।
এখানে আবার আসার আর একটা কারণ এই ভট্টরাই পরিবারের আন্তরিক আতিথিয়তা ও সুন্দর ঘরোয়া পরিবেশের জন্য। পৌঁছনোর সাথে সাথে এক গাল মিষ্টি হাসি নিয়ে ছুটে এলো সংগীতা নামের এই হোম স্টের ছোট মালকিন আর তার পিছনে এই পরিবারের ও ব্যবসার অবিভাবক মি বাসুদেও ভট্টরাই ও ওনার স্ত্রী। দুইদিনের জন্য যেন এই পাহাড়ি ভ্রমণের পথে নিজের বাড়ি খুঁজে পেলাম।
সন্ধ্যা নামলো, পাহাড়ি গ্রামে সূর্য্য ডুবলেই পথ ঘাট ফাঁকা হয়ে যায় ঘরে ঘরে শুরু হয় রাত্রের খাবারের প্রস্তুতি, ৮ টায় সব স্তব্ধ আবার সকাল ৪টে ৫টায় দিন শুরু হয়। যেখানে হোমস্টে আছে সেই সব জায়গায় একটু রাত্রিটা ৮টায় নয় দশটায় ঘুমিয়ে পরে।
তেমনি কালিম্পঙ জেলার এক ছোট্ট গ্রাম পবঙ্গ, কাঞ্চনজঙ্ঘার অনতিদূরেই অবস্থিত। উচ্চতা পাঁচ হাজার ফুট, কিন্তু বেশ ভালোই ঠান্ডা আছে, লোক সংখ্যা আট নয়শো হবে, কাছের শহর কালিম্পঙ।
সারা রাত্রি বৃষ্টি হলো। পাহাড়ি বৃষ্টির জংলী গন্ধ আর মিষ্টি ধ্বনি আমাকে জাগিয়ে রাখলো।
পরদিন খুব ভোর বেলায় উঠলাম, না, কোনো সূর্যোদয় দেখতে নয়, শুধু উঠেছি পাখির ডাক শুনতে।
পবঙ্গের প্রকৃতির রূপের সাথে পাওয়া যায় নানা পাখির ডাক, আর তাদের উড়ে বেড়ানোর অপূর্ব দৃশ্য।
বৃষ্টি হচ্ছিলো না , খুব মিষ্টি সকাল, পাখির ডাক শুনতে শুনতে পাহাড়ি গ্রামের পথ দিয়ে হেটে চলেছি অসাধারণ এক অনুভূতি, কুয়াশা আর মেঘ মিলে মিশে এক হয়ে গেছে, কোথাও বুঁনো গন্ধ আবার কোথাও কাঠের উনুনের ধোঁয়ার গন্ধ নাকে লাগছে,মাঝে মাঝে নীল আকাশ সাদা মেঘ সরিয়ে দেখা দিচ্ছে। ঘুম ভাঙা পাহাড়ি গ্রাম।
হোমস্টে তে ফিরে ব্রেকফাস্ট করে সবাই মাইল চললাম চারখোল, মাত্র ৪ কিলোমিটার। চারখোল নাম তার নৈস্বর্গিক সৌন্দর্যের জন্য আর কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য দেখার জন্য। মুগ্ধ হলাম লাল লিলির রূপ দেখে।
এই বর্ষার সময় কালিম্পঙ ও দার্জিলিঙের রূপ বারে রেড লিলি বা লাল লিলি ফুলে। পাহাড়ে বসন্তে ফোটে রডোড্রেনড্রন আর মোটামুটি সারা বছর ধরেই পাহাড়ের বাহার ধরে রাখে এন্থোরিয়াম, অর্কিড আর নানা জাতের অপুরূপ সব ফুলেরা। চারখোল সেই ফুলের সাজে সেজে আছে। এখানেও অনেকগুলো হোমস্টে আছে যেখানে থাকা খাওয়ার খরচ প্রতিদিন ১৫০০ টাকা।
যখন কাফেরগাও পৌছালাম তখন লাঞ্চ করবার সময়, একটা বেশ সাজানো রেস্ট্রুরেন্ট পেলাম রাস্তার ধারেই, সেখানেই ফ্রাইড রাইস আর চিল্লি চিকেন খেতে খেতে রেস্ট্রুরেন্টের কাছের জানালা দিয়ে রূপসী কাফেরগাঁওকে মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম। কাফেরগাঁও ও লোলেগাঁও দুটো যেন এক ছাদের নিচে দুটো আলাদা ঘর। লোলেগাঁওয়ের মধ্যেই এই কাফেরগাও, এটা একটা লেপচা গ্রাম। এর মূল আকর্ষণ অবশ্যই কাঞ্চনজঙ্ঘা, তারপরেই সূর্যোদয় আর ঝুলন্ত ব্রিজ, প্রায় দুশো মিটার লোহার এই ব্রিজে উঠে দুলতে দুলতে এই নেওড়া ভ্যালি জঙ্গলকে উপভোগ করা যে কি রোমাঞ্চকর অনুভূতি তা বলে বা লিখে বোঝানো যায় না ।
বিকেল বিকেল পবঙ্গ ফেরার পথে একটু উঁকি দিলাম খানি খোলা নামের একটা ছোট্ট মিষ্টি পাহাড়ি নদীকে। এই পবঙ্গে পাবেন অনেক ছোট ছোট পাহাড়ি ঝর্ণা। কাফেরগাওয়ের যে রূপ বসন্তে দেখেছিলাম সেটাও ভুলবার নয়। এবার কাঞ্চনজঙ্ঘা মেঘে ঢাকা ছিল। অক্টোবর থেকে এপ্রিল মাস হচ্ছে পাহাড়ের যেকোনো জায়গা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সময়।
পবঙ্গ, কাফেরগাও, ইয়ং মাকুম, চারখোল এরা যেন কাঞ্চনের চার রূপসী কন্যা। এতো বড়ো এই হিমালয়ের দার্জিলিং আর কালিম্পঙের মধ্যে সব থেকে নিবিড় ভালোবাসা কাঞ্চন যেন দিয়েছে এই চার কন্যাকে।
রাত্রে ডিনার টেবিলে বেশ জমিয়ে আড্ডা হলো। রাত্রি গভীর হচ্ছে, বাইরে বৃষ্টি, ঠান্ডা বাড়ছে, মাঝে মাঝে কোনো একটা পাখির অভিমানী ডাক, হয়তো সাথী হারা এই রাত্রি তাকে বিরহে জাগিয়ে রেখেছে।
চোখে ঘুম নেমে আসছে…
আজ ব্রেকফাস্ট করে পাহাড়কে বিদায় জানিয়ে নেমে যাবো ডুয়ার্সের মাঝের গ্রাম চা বাগানে এখান থেকে খুব সামনে আছে গাজোলডোবা, আজ রাত্রিটা চা বাগানে কাটিয়ে কাল খুব ভোরে রওনা দেবো কলকাতার উদ্দেশ্যে।
সকালের চা নিয়ে সংগীতা এলো, মুখ যেন আকাশের বর্ষার মেঘেদের থেকেও বেশি ভার। চা টেবিলে রেখে বললো ব্রেকফাস্ট হচ্ছে তাই রেডি হয়ে আসতে।
আমাদের এই চলে যাওয়াটাকে যেন এই প্রকৃতিও মেনে নিতে পারছেনা। কেমন একটা ভারী পরিবেশ।
চুপচাপ খেয়ে লাগেজ গাড়িতে তুলে যখন গাড়ি স্টার্ট দিতে যাবো তখন সংগীতা এসে একটা প্লাস্টিক প্যাকেট হাতে দিয়ে বললো যে এর ভিতরে এন্থোরিয়াম, অর্কিড আর কিছু থর্নলেস ক্যাকটাস গাছ আছে এগুলো আন্টির জন্য, আর দুটো কাঁচের শিশিতে, একটাতে ঘরে তৈরী ঘি আর একটায় মধু, এখানে প্রতি ঘরেই মৌমাছির চাষ হয় আর যাদের গরু আছে তারই ঘি বানিয়ে পর্যটকদের কাছে বিক্রি করে। অসাধারণ স্বাদ এই দুটি ঘরোয়া খাবারের।
বাসুদেও বাবু এবার জিজ্ঞেস করলো আবার কবে আসছি, আমি জানালাম ঠিক নেই, দেখি! গাড়ি গড়ালো আবার আগের পথে, পামবু , কালিঝোরা , বাঘপুল হয়ে শিলিগুড়ি বাইপাস দিয়ে ডুয়ার্সের দিক… প্রতিবার যখন পাহাড় ছাড়ি মনটা ভীষণ ভারী হয়ে যায়, জীবন থেকে সময় খসে পড়ছে, আর কতদিন পারবো জানিনা এমন চলন্ত ও জীবন্ত জীবন নিয়ে চলতে! গুড বাই কাঞ্চন, আবার আসবো ফিরে তোমার এই ছোট্ট নীড়ে… ফোনে একটা ম্যাসেজ এলো, খুললাম … তাতে লেখা ” পাপা, দেওয়ালীকে বাদ জারুর আয়োগে”, লেখাটা পড়বার পর দেখছি সামনের পাহাড়ি পথটা কেমন যেন ঝাপসা হয়ে আসছে, নেমে চলেছি সমতলের দিকে।
কিছু সম্পর্কের কোনো নাম নেই, নেই কোনো রক্তের সম্পর্ক… শুধু কিছু ভালোলাগা , কিছু ভালোবাসা, কিছু বিশ্বাস সৃষ্টি করে এক পবিত্র সম্পর্ক।
সেই সম্পর্ক গুলো বুকের গভীরে চুপটি করে বসে থাকে… সেই সম্পর্কে নেই কোনো চাওয়া পাওয়া, নেই কোনো চাহিদা।
হঠাৎ স্বায়ত একটা সজোরে ব্রেক মারলো, সম্বিৎ ফিরে পেলাম, দেখি তিস্তা উপচে পড়ছে আর সামনের রাস্তাটা জলের তলায়, ঢেউ আছড়ে পড়ছে সামনে পেছনের রাস্তায়, আরও রাস্তা দখলের জন্য। এমন ভাবে জল বৃদ্ধি পেলে আর বেশিক্ষণের জন্য এই পথে গাড়ি চলতে পারবেনা। ভয়ংকার এক উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছি সমতলের চা বাগানের উদ্দেশ্যে।
আসা যাওয়া : এন জে পি থেকে গাড়িতে ৩ ঘন্টা লাগে পবঙ্গ আসতে। ভাড়া ৩৫০০ টাকা, পানবু হয়ে গেলে ৭৫ কিমি, আবার কালিম্পঙ দিয়েও যাওয়া যায় ১২ মেইল থেকে সময় সাড়েতিন ঘন্টা ভাড়া ৪০০০ টাকা।
থাকা খাওয়া : ১৫০০ টাকা থেকে শুরু ১৮০০ টাকা পর্যন্ত, প্রতি জনের প্রতিদিন। তিন চারটে হোমস্টে আছে , ব্যাম্বো ভিলা নামের আর একটি সুন্দর হোমস্টে আছে। কিন্তু আমার কাছে ভট্টরাই হোমস্টে বেশি পছন্দের, তিনটে ঘরেই কাঞ্চনজঙ্ঘার অবস্থান, মোট ৯ জন থাকতে পারে। আসলে বেশি রুম মানেই বেশি লোকজন থাকবে আর তখন সেটা আর হোমস্টে থাকে শুধু নামে ভিতরটা হয়ে যায় পেশাদারি হোটেলের চেহারা, তাই নিরিবিলিতে থাকা , প্রকৃতিকে খুব নিবিড় ভাবে দেখা, জানা, ও চেনা যায় অজানা অচেনা পাহাড়ি গ্রামের সাত পরিবেশের কোনো হোমস্টে তে থাকলে।
এখানে আসার সঠিক সময়… অক্টোবর থেকে এপ্রিল মাস। যেমন ঠান্ডাকে উপভোগ করতে পারবেন তেমনি এর আসল রূপ দেখতে পারবেন। চাঁদের আলোয় পাহাড়ের রূপ, সাথে কাঞ্চঞ্জঙ্ঘাকে চাঁদের আলোয় দেখা, বসন্তে পাহাড়ের গায়ে রডোড্রেনডন ফুটে থাকা সাথে লিলি, অর্কিড, এন্থোরিয়াম, জারবারা, ক্যালেন্ডুলা, আহা কি অসাধারণ সেই রূপ!