• facebook
  • twitter
Wednesday, 13 November, 2024

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন সঞ্জীব খান্না

এই শপথ অনুষ্ঠানে উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, আইন মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আরও অনেক মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্য আইনজ্ঞ, সরকারী কর্মকর্তা এবং প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও উপস্থিত ছিলেন।

সুপ্রিম কোর্টের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন সঞ্জীব খান্না। ছবি: এএনআই

আজ সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন সঞ্জীব খান্না। তিনি হলেন দেশের শীর্ষ আদালতের ৫১তম প্রধান বিচারপতি। খান্না কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের রায় সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার বেঞ্চের শুনানিতে যুক্ত ছিলেন।

এর আগে সংসদের ইলেক্টোরাল বন্ড স্কিম বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এদিন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ইংরেজিতে ঈশ্বরের নামে শপথ বাক্য পাঠ করেন। যাতে তিনি ভয় বা অনুগ্রহ, স্নেহ বা বিদ্বেষ ছাড়াই তাঁর দপ্তরের দায়িত্ব পালন করবেন বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। এই শপথ অনুষ্ঠানে উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, আইন মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আরও অনেক মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্য আইনজ্ঞ, সরকারী কর্মকর্তা এবং প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না প্রধান বিচারপতি হওয়ার আগে তাঁর কর্ম জীবনে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। তিনি চন্দ্রচূড়ের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর ছয় মাসের জন্য দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব সামলাবেন।

বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, ১৯৬০ সালের ১৪ মে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৩ সালে দিল্লি বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসাবে যোগদান করে তাঁর আইনি কর্মজীবন শুরু করেন। সাংবিধানিক আইন, কর, সালিশ, বাণিজ্যিক আইন এবং পরিবেশ আইন সহ বিভিন্ন আইনি ক্ষেত্রে তাঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিচারপতি খান্না জাতীয় রাজধানী দিল্লির আয়কর বিভাগের সিনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সেল হিসাবেও কাজ করেছিলেন।

এদিকে ভারতের বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় শুক্রবার তাঁর শেষ কর্ম জীবনে তাঁর কার্যকালের কথা স্মরণ করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘যাঁদের প্রয়োজন, তাঁদের সেবা করতে পারার চেয়ে বড় অনুভূতি আর নেই।’