সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে এক সাংবাদিকের বাবা-মা-ভাইকে হত্যা করল দুষ্কৃতীরা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ছত্তিশগড়ের। সন্তোষকুমার টোপ্পো নামে ওই সাংবাদিক একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের জেলা রিপোর্টার পদেকর্মরত। সম্প্রতি ছত্তিশগড়েরই বিজাপুর জেলায় এক ঠিকাদারের নাম ফাঁস করায় মুকেশ চন্দ্রকর নামে আরেক সাংবাদিককে হত্যা করার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার আক্রান্ত সাংবাদিকের পরিবার।
ছত্তিশগড়ের একটি সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ফাঁস করার পরপরই গত ৩ জানুয়ারি এক ঠিকাদারের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে চন্দ্রকরের দেহ উদ্ধার হয়। মূল অভিযুক্ত সুরেশ চন্দ্রকরকে ৫ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার সন্তোষের বাবা-মা, মাঘে টোপ্পো (৫৭) এবং বাসন্তী টোপ্পো (৫৫) এবং তাঁর ভাই নরেশ টোপ্পো (৩০) চাষের কাজ শুরু করতে মাঠে গিয়েছিলেন। জগন্নাথপুর এলাকায় অবস্থিত ওই জমিটিকে নিয়েই পারিবারিক বিরোধ ছিল। তাঁরা ঘটনাস্থলে থাকাকালীন আত্মীয়-পরিজনদের মধ্যে ছয় থেকে সাতজন দুপুর ১টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। মৌখিক তর্কাতর্কি ক্রমেই হিংসার রূপ নে। হামলাকারীরা কুড়াল ও লাঠি ব্যবহার করে।
বাসন্তী ও নরেশ মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর জখম মাঘেকে অম্বিকাপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। সন্তোষের ভাই উমেশ টোপ্পো আক্রমণ থেকে বাঁচতে সক্ষম হন এবং তিনিই গ্রামবাসীদের খবর দেন। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে। এই ঘটনার পরেই অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। তাদের ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আদালত সন্তোষের পরিবারের পক্ষে রায় দেওয়ার আগে বিতর্কিত জমিটি হামলাকারীরা চাষ করেছিল। সম্পত্তি নিয়ে কয়েক মাস ধরে উত্তেজনা চলছিল। হামলার সময় সন্তোষ উপস্থিত ছিলেন না। খারগাওয়া ও প্রতাপপুর থেকে পুলিশের বিশেষ টিম মামলাটি তদন্ত করছে।