জেএনইউ হামলার নেপথ্যে খােদ উপাচার্য, তাঁকে শীঘ্র বরখাস্ত করার দাবি জানাল কংগ্রেসের তথ্য সন্ধান কমিটি। ওই কমিটির তরফে বলা হয়, জেএনইউ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার বড়সড় রকমের ঘাটতির কারণে পড়ুয়াদের ওপর হামলা চালানাে সম্ভব হয়েছে- রবিবারের হামলায় শিক্ষক ও পড়ুয়াদের ভয় দেখানােটা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল তাই নয়, রীতিমতাে চিন্তাভাবনা করে হামলা করা হয়েছে।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলার ঘটনার কংগ্রেস তথ্য সন্ধান কমিটি তদন্ত শুরু করেছে। স্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জগদীশ এম কুমার খােদ হামলার নেপথ্যে ছিলেন। তাঁকে শীঘ্র বরখাস্ত করা হেক। পাশাপাশি হিংসা ছড়াতে হামলাকারীদের সঙ্গে গােপন ষড়যন্ত্র করার জন্য উপাচার্য সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্তের দাবি জানানাে হয়েছে। ঘটনার সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও কংগ্রেসের কমিটির তরফে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।
বিকেলে প্রকাশিত রিপাের্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশের ভূমিকা নিন্দনীয়– পুলিশ ক্যাম্পাসের মধ্যে হামলাকারীদের অবাধে ঘুরে বেড়াতে দিয়েছিল- শুধু তাই নয়, উপাচার্য হামলাকারীদের পরােক্ষে সমর্থন করে জটিলতার পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন। রিপাের্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জেএনইউ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার বড়সড় রকমের ঘাটতির কারণে পড়ুয়াদের ওপর হামলা চালানাে সম্ভব হয়েছে। রবিবারের হামলায় শিক্ষক ও পড়ুয়াদের ভয় দেখানােটা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল তাই নয়, রীতিমতাে চিন্তাভাবনা করে করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনার দিন সাড়ে চারটের সময় পুলিশকে ডেকেছিল, কিন্তু পুলিশের তরফে জানানাে হয়েছে, পৌনে আটটার সময় ক্যাম্পাসে পলিশকে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনায় প্রচুর এফআইআর করা হয়েছে- লক্ষণীয়ভাবে এক জনকে গ্রেফতার করা হলেও বাকিদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
পুলিশের তরফে প্রাথমিক বিবৃতি দিয়ে জানানাে হয়, পুলিশ যেখানে ছিল তার থেকে অনেক দূরে হিংসা ঘটেছিল। পড়ুয়াদের দাবি, বিকেল থেকে পুলিশ ক্যাম্পাসে ছিল, কিন্তু নীরব দর্শকের মতাে ছিল, হিংসা দমনে কোনও ভূমিকা নেয় নি। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের একাংশ। লক্ষ্যণীয়, ভারতীয় জনতা পার্টি নেতা মুরলী মনােহর জোশীও উপাচার্যের দাবি জানিয়েছেন।
হামলার পর থেকে উপাচার্যের নিস্ক্রিয়তার অভিযােগ তুলে পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষকরা সরব হয়েছেন। ঘটনার দিন মুখােশধারীদের হামলায় ৩৪ জন গুরুতর জখম হয়েছিলেন। হামলার সময়ে রাস্তার আলাে বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কমিটি- তাদের দাবি, হামলাকারীদের হামলা চালিয়ে অবাধে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।