দিল্লি, ১ মার্চ – জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের হিংসার ঘটনা ঘটল। নির্বাচনের বৈঠক নিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ মারামারির পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়াল। তার জেরে মাথা ফাটল তিন ছাত্রের। জখম হন বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। এরপর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। দুই পক্ষই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জেএনইউ-তে চলছে ছাত্র ইউনিয়ন নির্বাচনের প্রক্রিয়া। চলছে বিভিন্ন স্কুলের মধ্যে নির্বাচনী বৈঠক। বৈঠক চলাকালীন ঝামেলার সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবার রাতে। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের মধ্যে তুমুল বিবাদ ও তার জেরে মারপিট বাধে বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে। স্কুল অব ল্যাঙ্গুয়েজের ইলেকশন কমিটির সদস্য কারা হবেন, তা নিয়েই এবিভিপি ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই হাতাহাতি বেঁধে যায়। দুই পক্ষই একে অপরকে আক্রমণ করতে শুরু করে।
অভিযোগ, বৈঠক চলাকালীন বামপন্থীরা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বা এবিভিপি-র প্রার্থীকে মঞ্চে কথা বলতে দেয়নি। এই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তর্ক শুরু হয়। বৈঠক চলাকালীন এবিভিপির সমর্থকরা চড়াও হয় এবং অশালীন মন্তব্য করতে শুরু করে। ছাত্রদের হুমকি, এমনকী নিরাপত্তারক্ষীদের হেনস্থাও করা হয়। বামপন্থী ছাত্রদের অভিযোগ, এবিভিপির সদস্যরা ক্যাম্পাসের মধ্যে মারধর শুরু করে। তাঁদের সমর্থকদের লাঠি ও রড দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা এবিভিপির তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তারা আবার এসএফআই প্রেসিডেন্ট ঐশী ঘোষ ও দানিশ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।
এই ঝামেলার ভিডিওয় দেখা যায়, ছাত্ররা ছোটাছুটি করছে। একে অপরকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছোড়া, লাঠি দিয়ে মারধোর করছে। অন্য এক ভিডিয়োয় দেখা যায়, এক ছাত্র সাইকেল তুলে ছুড়ে মারছে। ছাত্রদের তরফে জানানো হয়েছে, কমপক্ষে তিনজন ছাত্র গুরুতর আহত হন। তাদের দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি। পুলিশ সূত্রে খবর , সব পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
