রাজ্যের মর্যাদা ফেরাতে প্রস্তাব পাস করল জম্মু-কাশ্মীর ক্যাবিনেট

বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার চলাকালীনই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো মুখ্যমন্ত্রীর হিসেবে শপথ নেওয়ার দু’দিনের মধ্যেই বড় পদক্ষেপ করলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের প্রস্তাব পাস করেছে।

সরকারি সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীর মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। সূত্রের খবর, প্রস্তাবের খসড়া ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে প্রস্তাবের খসড়া হস্তান্তর করতে কয়েকদিনের মধ্যে নয়াদিল্লি যাবেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুরিন্দর চৌধুরী, মন্ত্রী সাকিনা মাসুদ ইতু, জাভেদ আহমেদ রানা, জাভেদ আহমেদ দার এবং সতীশ শর্মা। জম্মু-কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তারিক হামিদ কারা সাংবাদিকদের বলেছেন, রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধার না করা পর্যন্ত দল জম্মু ও কাশ্মীর মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে না। ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা আশাপ্রকাশ করেছেন, কেন্দ্র শীঘ্রই জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেবে।


ফারুক আবদুল্লা বলেন, আমরা আগেও রাজ্যের মর্যাদা নিয়ে কথা বলেছি, সুপ্রিম কোর্ট দু’মাসের মধ্যে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদনের শুনানি করতে রাজি হয়েছে। আমি নিশ্চিত, ভারত সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। ন্যাশনাল কনফারেন্স ৩৭০ ধারার বিষয়টি উত্থাপন করবে নাকি বিধানসভায় এর বিরুদ্ধে কোনও প্রস্তাব পাস করবে, তা নিয়েও মুখ খুলেছেন ফারুক। তাঁর কথায়, আমাদের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আদালতেই যেতে হবে।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেই ময়দানে নেমে কাজ শুরু করে দিয়েছেন ওমর। সিটি সেন্টার লাল চক পরিদর্শনের সময় আবদুল্লা জানিয়ে দেন, রাস্তায় কোনও ভিআইপি সংস্কৃতি থাকবে না। সাইরেনের বিরক্তিকর শব্দ থেকে মুক্তি পাবে জনগণ। তিনি বলেন, জনগণের কানে জ্বালা করে, এমন সাইরেন আর থাকবে না। এখানে সবাই সমান, সে স্থানীয়ই হোক বা রাজনীতিবিদ; কোনও ভিআইপি এখানে নেই।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারত সরকার ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার পর পূর্বতন জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করেছিল।