গুড়ের গুণে রূপ-লাবণ্য 

মিষ্টিজাতীয় খাবার হিসেবে স্থানীয় প্রায় সব মানুষের কাছে গুড় বেশ জনপ্রিয় ও পরিচিত একটি নাম। বিশেষ করে মিষ্টিজাতীয় খাবার তৈরিতে এটি প্রধানত ব্যবহৃত হয়। তবে শুধু গুড়ও অনেকে খেতে ভালোবাসেন। গুড় শিক্ষার্থীদের মগজ শাণিত করে বলেও একটি কথা প্রচলিত আছে। এ বিবেচনায়ও অনেক শিক্ষার্থী বেশি করে গুড় খেয়ে থাকেন। তবে গুড়ের একটি বড় উপকারি দিক হয়তো অনেকের জানা নেই। তা হলো এটি নাকি রূপের লাবণ্য বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখে।

 

গুড়ে আছে সুক্রোজ, গ্লুকোজ এবং ফ্রুকটোজ। এ ছাড়াও আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও লৌহের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদন। নিচে সৌন্দর্য চর্চায় গুড়ের কী ভূমিকা তা নিয়েই আজ আলোচনা করা হলো :

১. ব্রণ এবং ফুঁসকুড়ি দূর করে গুড়। প্রতিদিন একটি প্রমাণ সাইজের লেবুর সমান গুড় খেলে  মুখমণ্ডলের ত্বক পরিষ্কার, দাগ দূর করা, ফুঁসকুড়ি নির্মূল এবং ত্বকের লাবণ্য বাড়াতে সাহায্য করে।


২.  তারুণ্য ধরে রাখতে এবং ত্বকে বলিরেখা পড়া থেকে রক্ষা করে।  অকাল বার্ধক্য রোধে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে গুড়, তিলের বীজ এবং বিভিন্ন ঔষুধি গাছের সংমিশ্রণ ব্যবহার করা হয়।

৩. ঝলমলে বা দ্যুতিময় চুলের জন্য একটি ছোট পাত্রে দুই চামচ মুলতানি মাটি, জল এবং গুড়ের মিশ্রণ তৈরি করে চুলে লাগাতে পারেন। ঠিক দশ মিনিট পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে আপনার চুলের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য দুটোই বৃদ্ধি পাবে।

৪. গুড়ের পটাশিয়াম আছে তা উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপকারী। গুড়ের লৌহ রক্তশূন্যতা কমাতে সাহায্য করে।

৫. গুড় থেকে আমরা মূলত শক্তি পাই। প্রতি গ্রাম গুড় দেয় প্রায় চার ক্যালরি শক্তি।