মহিলাদের মাসে ২১০০ টাকা, ৫ লক্ষ চাকরি, ঝাড়খণ্ডে বিজেপির বড় প্রতিশ্রুতি

ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ইস্তেহার প্রকাশ করল বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইস্তেহার প্রকাশ করেন। উপস্থিত ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ, ঝাড়খণ্ড বিজেপির সভাপতি বাবুলাল মারান্ডি। অমিত শাহ বলেন, ঝাড়খণ্ডের জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী ধরনের সরকার চায়। আমরা ঝাড়খণ্ডকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাব। ঝাড়খণ্ডে কুশাসন ও দুর্নীতির অবসান ঘটবে। মাটি, কন্যা ও রুটি রক্ষা করবে বিজেপি।

অমিত শাহ বলেন, ঝাড়খণ্ডের এই নির্বাচন কেবল সরকার পরিবর্তনের নির্বাচন নয়, ঝাড়খণ্ডবাসীর ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার নির্বাচন। ঝাড়খণ্ডের কোটি মানুষের সাথে আলোচনা করে রেজোলিউশন লেটার তৈরি করা হয়েছে। হেমন্ত সোরেন সরকার সমস্ত প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা সবগুলো শুরু করব। হেমন্ত সোরেন সরকারে আদিবাসীরা নিরাপদ নয়। ঝাড়খণ্ডের জমি দখল করছে অনুপ্রবেশকারীরা। আমরা ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ বন্ধ করব, উন্নয়নের পথে নিয়ে যাবে।

কেন্দ্রীয় সরকারেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, হেমন্ত সরকার মোদী সরকারের সমস্ত উন্নয়নমূলক প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা ঝাড়খণ্ডের উন্নয়ন, নিরাপত্তার পাশাপাশি দুর্নীতি দূর করার জন্য কাজ করব। হেমন্ত সোরেন সরকারে কেউ নিরাপদ নয়। কংগ্রেস বরাবরই অনগ্রসর শ্রেণীর বিরুদ্ধে। আর সেখানে মোদী অনগ্রসর শ্রেণিকে ২৭ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছেন। একজন আদিবাসী নারীকে দেশের রাষ্ট্রপতি করেছেন।


কেন্দ্রীয় সরকার সব সময়ই ঝাড়খণ্ডের পাশে ছিল বলে দাবি করেছেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, হেমন্ত সোরেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ১.৩৬ লক্ষ কোটি টাকা দাবি করেছেন। তাঁর কথা শুনে আমার হাসি পায়। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইউপিএ সরকার ঝাড়খণ্ডকে ৮৪ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১০ বছরে ৩ লক্ষ ৮ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন।

হেমন্ত সোরেন সরকারের কড়া সমালোচনাও করেন শাহ। তাঁর কথায়, হেমন্তের আমলে ঝাড়খণ্ডে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ বেড়েছে ২৯ শতাংশ। ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে ৪২ শতাংশ। নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হেমন্ত সোরেন। হেমন্ত সোরেন সরকার প্রতি বছর ৫ লক্ষ যুবককে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়নি। অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়েছে হেমন্ত সরকার। অনুপ্রবেশকারীদের ওঁরা ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে দেখে। অনুপ্রবেশকারীদের কারণে, আদিবাসীদের সংখ্যা কমছে, জনসংখ্যা পরিবর্তন হচ্ছে।

ইস্তেহারে বড় প্রতিশ্রুতি

গোগো দিদি স্কিমের অধীনে প্রত্যেক মহিলাকে মাসে ২১০০ টাকা

দীপাবলি এবং রাখি বন্ধনে একটি করে সিলিন্ডার বিনামূল্যে

পাঁচ বছরে পাঁচ লাখ কর্মসংস্থান

২ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫০০ সরকারি পদে নিয়োগ

প্রতি বছর এক লক্ষ যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ

যুবকদের প্রতি মাসে ২০০০ টাকা চাকরি ভাতা

পাঁচ বছরে প্রত্যেক দরিদ্র একটি স্থায়ী বাড়ি পাবে

মোট ২১ লাখ বাড়ি তৈরি করা হবে

৫০০ কোটি টাকা খরচ করে সিধু কানহু রিসার্চ সেন্টার

রাজ্যকে গরু চোরাচালান থেকে মুক্ত করা হবে

দেশের প্রধান শহরগুলিতে জোহর ঝাড়খণ্ড ভবন তৈরি করা হবে

প্রতি কুইন্টাল ধান ৩১০০ টাকায় কেনা হবে

অপশাসন ও দুর্নীতি তদন্তে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করবে

প্রতি জেলায় ১০টি নতুন সরকারি মেডিকেল কলেজ এবং একটি নার্সিং ট্রেনিং কলেজ খোলা হবে

ডায়মন্ড চতুর্ভুজ এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি হবে

বিজেপি ঝাড়খণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি) আনবে কিন্তু আদিবাসীদের ইউসিসির বাইরে রাখবে

আদিবাদীদের জমি দখলমুক্ত করা হবে