• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ইডির মুখোমুখি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী 

রাঁচি, ৩১ জানুয়ারি –  নাটকীয় পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বুধবার ইডির মুখোমুখি  ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন।  রাঁচিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাংলোয় হেমন্তকে জেরা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর রাঁচির বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির অফিসারেরা। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা রক্ষী ডেকে পাঠানো হয় । ইডি সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে

রাঁচি, ৩১ জানুয়ারি –  নাটকীয় পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বুধবার ইডির মুখোমুখি  ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন।  রাঁচিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাংলোয় হেমন্তকে জেরা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর রাঁচির বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির অফিসারেরা। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা রক্ষী ডেকে পাঠানো হয় । ইডি সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার সময় এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরির আশঙ্কা ছিল। বাসভবনের আশেপাশে জারি হয়১৪৪ ধারা। সূত্রের খবর, হেমন্ত যদি ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন তাহলে শান্তি বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তায় কড়াকড়ির ব্যবস্থা করে ঝাড়খণ্ড সরকার। জানা গিয়েছে, অর্থসচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে।হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে রাঁচির সরকারি জমি আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে সিবিআই। সেই মামলায় বেআইনিভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে ইডি।
 
ইডি তাঁকে একদফা জেরা করলেও তিনি তিনবার নোটিস পেয়েও হাজির হননি। নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়  দিল্লির বাড়ি থেকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে। জমি জালিয়াতি মামলায় হেমন্তকে প্রশ্নোত্তর করার জন্য গত কয়েকদিন ধরে খুঁজছিল ইডি। এর মধ্যেই রবিবার রাত থেকে হঠাৎ বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, হেমন্ত নিখোঁজ হয়েছেন। রবিবার শেষ বার দিল্লির বিমানবন্দরে নামতে দেখা গিয়েছিল হেমন্তকে। কিন্তু তার পরে ইডি হেমন্তের দিল্লির বাড়িতে গিয়েও তাঁকে পায়নি। এমনকি, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর জন্য দিল্লির ঝাড়খণ্ড ভবনেও খোঁজ করা হয়। সেখানেও ছিলেন না তিনি। ইডি হেমন্তের ফাঁকা বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দু’টি বিএমডব্লিউ গাড়ি পায়। আর নগদ ৩৬ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করে। মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি ফেরেন হেমন্ত।

সূত্রের খবর, ইডির জেরা শুরুর আগে বাবা শিবু সোরেনের সঙ্গে দেখা করেন হেমন্ত। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, হেমন্ত গ্রেপ্তার হলে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে পারেন তাঁর স্ত্রী কল্পনা। সম্ভবত সেই নিয়ে আলোচনা করতেই বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন হেমন্ত।

উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারিও মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে হেমন্তকে জেরা করেছিল ইডি। কিন্তু জমি দুর্নীতিতে আর্থিক তছরুপ মামলায় সেদিনের জেরায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি আধিকারিকরা। সে জন্যই আবারও জেরা করতে সমন পাঠায় ইডি। বুধবার  জেরা শুরুর আগে জেএমএম বিধায়কদের অধিকাংশই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে হাজির হয়েছিলেন। প্রতিবাদ শুরু করেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরাও।
 
এদিকে বিহারের লালুপ্রসাদের পথেই ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন স্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী করতে তৎপর বলে রাজনৈতিক মহলে খবর। সোমবার নিখোঁজ  থাকার পর মঙ্গলবার রাঁচির বাড়িতে ফিরেই দলের মন্ত্রী, বিধায়ক ও দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। ইডি তাঁকে গ্রেপ্তার করলে পরবর্তী কৌশল ঠিক করতেই বৈঠক হয় । সেক্ষেত্রে স্ত্রী কল্পনাকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসাতে পারেন বলে গুঞ্জন। মন্ত্রী ও বিধায়কদের সম্মতি আদায়ের জন্য  আলোচনা করেন। তবে বৈঠকে দলের চার বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন। দলের মন্ত্রী ও বিধায়কদের পাশাপাশি কংগ্রেস ও বাম বিধায়কদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।

 
দিল্লির বাড়ি থেকে ৩২ লাখ টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে ইডির তদন্ত নিয়ে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেন, “আমি রাজ্যপালকে সংবিধানের ৩৫৫ অনুচ্ছেদের অধীনে একটি রিপোর্ট পাঠাতে অনুরোধ করছি। হেমন্তের ভাই এবং ভগ্নিপতি আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা সবাই দুঃখিত যে এই দলটি শিবু সোরেন এবং দুর্গা সোরেন দ্বারা গঠিত হয়েছিল। কিন্তু তিনি তাঁর স্ত্রীকে দায়িত্ব দিতে চান , কিন্তু কেউ এতে রাজি হচ্ছেন না। তিনি পলাতকের মতো তাঁর স্ত্রীর জন্য দায়িত্ব নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমি মনে করি এটি রাষ্ট্রপতি শাসনের জন্য সঠিক সময়।”