বিরাট ধাক্কা! ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ছেড়ে জেএমএমে দুই প্রাক্তন বিধায়ক

বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিরাট ধাক্কা খেল ঝাড়খণ্ড বিজেপি। সোমবার ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চায় (জেএমএম) যোগ দিলেন দুই প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক লুইস মারান্ডি এবং কুনাল সারাঙ্গি। দিন দিয়েক আগে তিনবারের বিজেপি বিধায়ক কেদার হাজরা এবং এজেএসইউ পার্টির উমাকান্ত রাজাক জেএমএমে যোগ দিয়েছিলেন।

বিজেপি প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে দল ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। টিকিট না পেয়ে বিক্ষুব্ধ নেতারা বিজেপি ছেড়ে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চায় যোগ দিতে শুরু করেছেন। কাঙ্কে রোডে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে জেএমএমে যোগ দেন প্রাক্তন বিজেপি মন্ত্রী লুইস মারান্ডি।

লুইস মারান্ডি রঘুবর দাস সরকারের আমলে মন্ত্রী ছিলেন। এবার সুনীল সোরেনকে দুমকা থেকে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। সেই কারণেই ক্ষুব্ধ হয়ে দল ছাড়াও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লুইস মারান্ডি। প্রাক্তন মন্ত্রী লুইস মারান্ডির পাশাপাশি, বিজেপি নেতা গণেশ মাহালি এবং কুণাল সারাঙ্গিও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চায় যোগ দিয়েছেন।


বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র এবং বহরগোড়া বিধায়ক কুণাল সারঙ্গি বলেন, আমরা জেএমএমে যোগ দিয়েছি। প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক লুইস মারান্ডি ২০১৪ সালে দুমকা থেকে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে ৫২৬২ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন। হেমন্ত সোরেন ২০১৯ সালে ১৩,১৮৮ ভোটের ব্যবধানে আসনটি জিতেছিলেন। এই আসনটি এবার ছেড়ে দিয়ে বারহাইত আসনে লড়ছেন হেমন্ত।

৮১ আসনবিশিষ্ট ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ১৩ নভেম্বর এবং ২০ নভেম্বর ভোট হবে। গণনা হবে ২৩ নভেম্বর। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের অভিযোগ, বিধানসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভোট করা হচ্ছে। নির্বাচিত সরকারকে তার নির্ধারিত মেয়াদ শেষ করতে দেওয়া হয়নি।