• facebook
  • twitter
Wednesday, 30 October, 2024

দলের মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগি

জনতা দল ইউনাইটেডের জাতীয় মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কেসি ত্যাগি। জানালেন, ব্যক্তিগত কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।  রবিবার দলের সভাপতি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে মেল করে পদত্যাগপত্র পাঠান জেডিইউ-র এই প্রবীণ নেতা।

জনতা দল ইউনাইটেডের জাতীয় মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কেসি ত্যাগি। জানালেন, ব্যক্তিগত কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।  রবিবার দলের সভাপতি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে মেল করে পদত্যাগপত্র পাঠান জেডিইউ-র এই প্রবীণ নেতা। রবিবার তাঁর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই দলের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয় । জানানো হয়, ত্যাগির পদে রাজীব রঞ্জন প্রসাদকে নিয়োগ করেছেন দলের প্রধান তথা বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী নীতিশ কুমার । 

রবিবার নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে নীতিশ কুমারকে চিঠি দেন কেসি ত্যাগি। চিঠিতে তিনি লেখেন, গত কয়েকমাস ধরে দলের মুখপাত্রের পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য দলের সুপ্রিমোর কাছে অনুরোধ জানিয়ে আসছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় মুখপাত্রের পদের সুবিচার আমার পক্ষে করা সম্ভবপর হচ্ছিল না। তাই অনুরোধ, এই দায়িত্ব থেকে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হোক. আমি আপনার ও বিহার সরকারের জন্য যে কোনও প্রচারে উপস্থিত থাকব। 

দলীয় সূত্রের খবর, নীতিশ কুমারের সঙ্গে বিরোধের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের প্রবীণ নেতা কেসি ত্যাগি। । তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কখনও কখনও তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে দলকে। দলের  সঙ্গে আলোচনা না করে তিনি নানা বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। যে কারণে অসন্তুষ্ট হন নীতিশ। ত্যাগির বেশ কিছু মন্তব্য নীতিশের দলকে অস্বস্তির মুখে ফেলে দেয় এনডিএ-র বড় শরিক বিজেপির  কাছে ।  এনডিএ-র শরিক হিসাবে জেডিইউ এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষেই আছে। 

রাজনৈতিক মহলে খবর, কেসি ত্যাগি অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন নীতিশের। কিন্তু ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধ নিয়ে ত্যাগির কিছু মন্তব্য দলকে অস্বস্তির মুখে ফেলে দেয়। ত্যাগির অভিজ্ঞতা ও ভাষণ দেওয়ার দক্ষতার কারণে আঞ্চলিক দলের নেতা হয়েও দিল্লির রাজনীতিতে সহজেই নিজের জায়গা তৈরি করে নেন এই প্রবীণ নেতা। তবে দলের সুপ্রিমোর সঙ্গে কিছু বিষয়ে তাঁর মতবিরোধ প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।  এই পরিস্থিতিতে ত্যাগির এই সিদ্ধান্ত তাপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।