• facebook
  • twitter
Thursday, 17 April, 2025

তাহাবুর রানাকে জিজ্ঞাসাবাদে নেতৃত্ব দেবেন বাংলার কন্যা আইপিএস অফিসার জয়া রায়

মুম্বই হামলার অন্যতম কুচক্রী তাহাউর রানাকে জেরা করে তাঁর কাছ থেকে কথা বের করে আনার দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলার কন্যা।

মুম্বই হামলার অন্যতম কুচক্রী তাহাউর রানাকে জেরা করে তাঁর কাছ থেকে কথা বের করে আনার দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলার কন্যা। রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে এনআইএ-র বিশেষ টিম। সেই টিমে রয়েছেন এনআইএ-র ডিআইজি জয়া রায়, আইজি আশিস বাত্রা। ডিআইজি জয়া রায় এই বাংলারই কন্যা। ঝাড়খণ্ডের ‘জামতাড়া গ্যাং’য়ের কার্যকলাপ ফাঁস করে ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছেন জয়া। এবার তাঁর দায়িত্ব মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রে যুক্ত তাহাউরের কাছ থেকে কৌশলে তথ্য বের করে আনার ।

২৬/১১ মুম্বই হামলার বিষয়ে আরও তথ্য জানতে চায় এনআইএ। এই হামলার পিছনে মূল মাথা কে, আর কারা এই হামলার সঙ্গে যুক্ত, আর কারা কারা এই হামলা সম্পর্কে অবগত ছিল. এইসব বিষয়ে জানতে চায় এনআইএ। রানাকে লাগাতার জেরা করে এসব তথ্য জানতে চান তদন্তকারীরা।

কে এই জয়া রায় ? ২০১১ ব্যাচের ঝাড়খণ্ড ক্যাডারের আইপিএস জয়া রায় বর্তমানে এনআইএ-র ডিআইজি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।১৯৭৯ সালের ২২ শে এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১১ সালে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি এমবিবিএস ডিগ্রিও অর্জন করেন।

জয়া রায় প্রাথমিকভাবে ঝাড়খণ্ড পুলিশে নিযুক্ত ছিলেন, যেখানে তিনি জামতাড়ায় সাইবার অপরাধীদের দমনে সাহায্য করেছিলেন। তাঁর চরিত্র নিয়ে তৈরি হয়েছে ওয়েব সিরিজও। ২০১৯ সাল থেকে তিনি সেন্ট্রাল ডেপুটেশনে রয়েছেন। সেই সময় তাঁকে এনআইএ-র পুলিশ সুপার পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। এরপর পদমর্যাদার মাধ্যমে ডিআইজি পদে উন্নীত হন।

তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে রয়েছেন আশিস বাত্রাও। তিনি ১৯৯৭ সালে ঝাড়খণ্ড পুলিশের ক্যাডার। ২০১৮ সালে ঝাড়খণ্ডের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ইউনিট ‘জাগুয়ারে’র প্রধান ছিলেন। তারপর ২০১৯ সাল থেকে তিনি সেন্ট্রাল ডেপুটেশনে আছেন। সেই সময় তাঁকে ৫ বছরের জন্য ইন্সপেক্টর জেনারেল পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। পরে তাঁর মেয়াদ আরও ২ বছর বৃদ্ধি করা হয়। জয়া রায়ের সঙ্গে তিনিও তাহাউর রানাকে জেরার দায়িত্বে রয়েছে।

দেশের রাজধানীতে ২০০৮ এর ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম প্রধান ষড়যন্ত্রকারী তাহাবুর রানা। পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত ১০ জন সন্ত্রাসবাদী আরব সাগরের সমুদ্রপথ ব্যবহার করে ভারতের রাজধানীতে ঢুকে পড়ার পর একটি রেল স্টেশন, দুটি বিলাসবহুল হোটেল এবং একটি ইহুদিদের কেন্দ্রে তাণ্ডব চালালে কমপক্ষে ১৬৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং প্রায় ৪০০ জন আহত হন। সেই হামলার অন্যতম প্রধান চক্রীকে জেরা করে তথ্য বের করে আনা সহজ কাজ নয়। ফলে আবার এক চ্যালেঞ্জের সামনে বাংলার কন্যা জয়া রায়।