চন্ডিগড়, ১০ মে– তিনি নিজেকে সাধু বললেও তার নামে যে সমস্ত অভিযোগ ওঠে তাতে তাকে ‘শয়তান’ বললেও কম বলা হয়৷ ১২০ জনের বেশি মহিলাকে ধর্ষণের অপরাধে ১৪ বছরের কারাদণ্ড প্রাক্তন জলেবি বাবার ভবলিলা সাঙ্গ হল জেলেই৷ আসল নাম নাম বিল্লু রাম, ভক্তদের কাছে তিনি জলেবি বাবা নামেই পরিচিত ছিলেন৷ ২০১৮ সালে প্রথম খবরের শিরোনামে উঠে আসেন এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু৷ পাঞ্জাবের মনসা এলাকার বাসিন্দা বিল্লু রাম জীবনের শুরুতে ঠেলা গাড়ি চালাতেন৷ এর পর হরিয়ানার এসে জিলিপি তৈরির কাজ করতেন তিনি৷ এরপর হঠাৎ নিজেকে স্বঘোষিত ধর্মগুরু ঘোষণা করে হরিয়ানার হিসার জেলায় রীতিমতো প্রতিপত্তি বাড়িয়ে তোলেন এই ব্যক্তি৷ জিলিপি বিক্রির সূত্র ধরেই তাঁর নাম হয় জলেবি বাবা৷ এলাকায় একটি আশ্রমও খুলে ফেলেন তিনি৷ তখন থেকেই শুরু হয় তাঁর কুকীর্তি৷ সুন্দরী, অল্প বয়সি কোনও মহিলা ভক্ত তাঁর কাছে এলে বাবার লালসা থেকে নিস্তার পেতেন না তাঁরা৷ চায়ের সঙ্গে মাদক খাইয়ে প্রথমে অজ্ঞান করা হত সেই মহিলাকে৷ এর পর ধর্ষণের পাশাপাশি গোটা ঘটনার ভিডিও করা হত৷ এবং সেই ভিডিওকে হাতিয়ার করে ‘ব্ল্যাকমেল’ করা হত৷
জেলেই মৃতু্য ১২০ মহিলার ধর্ষণে অভিযুক্ত জলেবি বাবার
২০১৮ সাল নাগাদ তেমনই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়৷ এর পর সেই ভিডিও’র ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করে তদন্তে নামে পুলিশ৷ তদন্তে এমন আরও একাধিক আপত্তিকর ভিডিও হাতে আসে পুলিশের৷ একে একে আরও একাধিক অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ তদন্তে পুলিশ জানতে পারে ১২০ জনের বেশি মহিলাকে ধর্ষণ করেছিলেন ওই ভণ্ড জলেবি বাবা৷ তাঁদের মধ্যে নাবালিকা থেকে মধ্য বয়সি বাদ ছিল না কেউই৷ সেই মামলায় ২০২৩ সালে তাঁকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত৷