অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে সোমবার ব্রিসবেনে নতুন দূতাবাসের উদ্বোধন করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। উদ্বোধনের পরে তিনি বলেন, ‘দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতাই আসলে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বের প্রতিফলন। আমাদের দৃঢ় বন্ধন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। আমি সেটাকে হালকাভাবে নিতে চাই না। পারস্পরিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং বাণিজ্যিক চুক্তি সেটারই একটি সূচক হিসেবে ধরা যায়। এরফলে আচমকা আমাদের দেশে প্রচুর বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধা উন্মুক্ত হয়েছে। আমরা চাই, এবার সেটাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে। আমাদের এই বন্ধুত্বের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে নিশ্চিতভাবে বেশ কিছু উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। এবং আমি নিশ্চিত যে, দূতাবাস এই কাজটা দ্রুতগতি সম্পন্ন করতে পারবে।’
জয়শঙ্কর আত্মবিশ্বাসী যে, ব্রিসবেনের এই দূতাবাস অস্ট্রেলিয়ার প্রবাসী ভারতীয়দের সময়মতো বাণিজ্যিক সমস্যার সমাধান করবে। তিনি এদিন দূতাবাস উদ্বোধনের পরে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘আজ ব্রিসবেনে ভারতের নতুন দূতাবাসের উদ্বোধনের কাজ খুব সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে পেরে আমি আনন্দিত। এরফলে কুইন্সল্যান্ডের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক, শিক্ষাগত সম্পর্ক এবং প্রবাসীদের পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়গুলি শক্তিশালী হবে।’
তিনি জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানে কুইন্সল্যান্ডের গভর্ণর ড. জেনেট ইয়ং, মন্ত্রী রস বেটস এবং ফিওনা সিম্পসন সহ বিশিষ্ট আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া গভর্ণর ইয়ং-এর সঙ্গে আরও একটি বৈঠকে জয়শঙ্কর দুই রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং বিনিয়োগ বিষয়ে আলোচনা করেন। এর আগে ব্রিসবেনের পার্কল্যান্ডের রোমা স্ট্রিটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কুইন্সল্যান্ডের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকের পর বিদেশমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন,’আজ কুইন্সল্যান্ডের মাননীয় গভর্ণর ড. জেনেট ইয়ং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমি খুবই খুশি। কীভাবে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা আরও বাড়ানো যায়, সেবিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুর– এই দুটি দেশ সফরে বেরিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়াতে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সেই সব কর্মসূচি সেরে তিনি আগামী ৮ নভেম্বর সিঙ্গাপুর সফরে যাবেন।