• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

দুর্ঘটনার দিন পোর্শের স্টিয়ারিংয়ে ছিল অভিযুক্ত কিশোরই

পুনে, ৩১ মে – পুনের  দুর্ঘটনার দিন পোর্শের স্টিয়ারিংয়ে ছিল অভিযুক্ত কিশোরই। শুধু তা-ই নয়,  ওই কিশোর মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল, পুলিশকে জানাল অভিযুক্তের বন্ধুরা।পুলিশের কাছে তারা  জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় গাড়ির পিছনের সিটে বসেছিল তার বন্ধুরা। পুণে পুলিশ তাদের বয়ান রেকর্ড করেছে। পুণেতে বিলাসবহুল পোর্শের ধাক্কায় দুই তরুণ ইঞ্জিনিয়ারের অকাল মৃত্যু হয়। গাড়িটিতে চালকের আসনে

পুনে, ৩১ মে – পুনের  দুর্ঘটনার দিন পোর্শের স্টিয়ারিংয়ে ছিল অভিযুক্ত কিশোরই। শুধু তা-ই নয়,  ওই কিশোর মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল, পুলিশকে জানাল অভিযুক্তের বন্ধুরা।পুলিশের কাছে তারা  জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় গাড়ির পিছনের সিটে বসেছিল তার বন্ধুরা। পুণে পুলিশ তাদের বয়ান রেকর্ড করেছে।

পুণেতে বিলাসবহুল পোর্শের ধাক্কায় দুই তরুণ ইঞ্জিনিয়ারের অকাল মৃত্যু হয়। গাড়িটিতে চালকের আসনে ছিল ১৭ বছরের কিশোর। সে মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে অভিযোগ। যদিও প্রথমে পুলিশের জেরায় তার মদ্যপ থাকার কথা অস্বীকার করে কিশোরের বন্ধুরা। এমনকি, চালকের আসনেও ওই কিশোর ছিল না বলে জানিয়েছিল। অভিযুক্ত কিশোরের বাবা তথা ইমারতি ব্যবসায়ী বিশাল আগরওয়াল পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর নাবালক পুত্র নয়, দুর্ঘটনার সময় পোর্শের চালকের আসনে ছিলেন তাঁদেরই গাড়ির চালক। বিশালের বক্তব্যকে সমর্থন করেছিল অভিযুক্ত কিশোরের দুই বন্ধুও । যদিও পুলিশ তা গ্রাহ্য করেনি। কিশোরের বাবা এবং ঠাকুরদাকে গ্রেফতার করা হয়।

অভিযুক্ত কিশোরকে প্রথমে জামিন দিলেও পরে তাকে আটক করে জুভেলাইন হোমে পাঠানো হয়। বর্তমানে সেখানেই রাখা হয়েছে তাকে। তদন্তের স্বার্থে সেখানে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বলে ওই হোমের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ,  চিঠিও দেওয়া হয়েছে। যদিও এখনও হোমের কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও সবুজ সঙ্কেত মেলেনি।

এই ঘটনায় সসুন হাসপাতালের ফরেন্সিক প্রধান অতুল তাওয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, দুর্ঘটনার পরে অভিযুক্তের শারীরিক পরীক্ষার জন্য সসুন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই তার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ফরেন্সিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর সন্দেহ হয় পুলিশের। কারণ, রিপোর্টে দেখা যায়, কিশোরের মদ্যপান করার কোনও প্রমান মেলেনি।  দ্বিতীয় বার আবার রক্তপরীক্ষা করানো হয় অভিযুক্তের। সেই রিপোর্টেই ধরা পড়ে, কিশোর মদ্যপান করেছিল। এর পরে ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করে পুলিশ। সেখান থেকে জানা যায়, প্রথম এবং দ্বিতীয় রিপোর্টটিতে আলাদা আলাদা রক্তের নমুনা ব্যবহৃত হয়েছে। তার পরই অতুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে, টাকার বিনিময়ে অভিযুক্তের রক্তের নমুনা বদলে দিয়েছিলেন তিনি।