ইতিহাস, SSLV-D3 রকেটের সফল উৎক্ষেপণ ইসরোর

ইতিহাস। এসএসএলভি-D3 উৎক্ষেপণ করল ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ‘ইসরো’। শুক্রবার সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে SSLV-D3 রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়। এই নিয়ে চলতি বছরের তৃতীয় উৎক্ষেপণ করল ইসরো।

এর আগে এই উৎক্ষেপণ ১৫ অগস্ট হওয়ার কথা ছিল। তবে ইসরোর তরফে সেই দিনক্ষণ পরিবর্তন করা হয়। অবশেষে আজ, ১৬ অগস্ট শুক্রবার আকাশে পাড়ি দিল ‘স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যাল’ D3। ছোট ছোট স্যাটেলাইটকে পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছে দেওয়া কাজ করে এসএসএলভি।

SSLV মানে ছোট (স্মল) স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল এবং D3 মানে তৃতীয় ডেমোনস্ট্রেশন ফ্লাইট। মিনি, মাইক্রো ও ন্যানো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে এই রকেট ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ‘ইসরো’।


SSLV রকেটের দৈর্ঘ্য ৩৪ মিটার। ওজন ১২০ টন। আর এর ব্যাস হল ২ মিটার। SSLV এর। ইসরো সূত্রে জানা গিয়েছে, SSLV ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বে ১০ থেকে ৫০০ কেজির পেলোড সরবরাহ করতে পারে। মাত্র ৩ দিনে SSLV প্রস্তুত করেছে দেশের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো।

ইসরোর এই অভিযান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর কারণ, এই জোড়া স্যাটেলাইট তৈরিতে খরচ খুবই কম লেগেছে। SSLV-D3 অভিযানের খরচও বেশ কম। তার ফলে আগামী দিনে খুব কম খরচে বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে পারবে ইসরো। ফলে মহাকাশ বাণিজ্যে আরও সাফল্য পাবে ভারতের সংস্থা।

SSLV-D3-তে যে আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইটটি রয়েছে, তা তৈরি করা হয়েছে একটি মাইক্রোস্যাটেলাইট বা আইএমএস-১ বাসে। এক বছর ধরে মহকাশে থাকবে স্যাটেলাইটটি। ১৭৫.৫ কেজি ওজনের এই স্যাটেলাইটটি প্রায় ৪২০ ওয়াট শক্তি উৎপাদন করতে পারে।