উইং কমান্ডার কিংবা গ্রুপ ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার এই চার মহাকাশচারী যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় পারদর্শী। যদিও মহাকাশ অভিযানের আগে বেঙ্গালুরুতে বায়ুসেনার নভশ্চর কেন্দ্রে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। বায়ুসেনারই ইনস্টিটিউট অফ এরোস্পেস মেডিসিনে এই চার জনকে বেছে নেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার তাঁদের নাম ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আমি আনন্দিত যে আজ আমি এই মহাকাশচারীদের সঙ্গে দেখা করার এবং দেশের সামনে তাঁদের উপস্থাপন করার সুযোগ পেয়েছি। আমি দেশের পক্ষ থেকে তাঁদের অভিনন্দন জানাই। আপনারা আজকের ভারতের গর্ব।’
২০১৯ সালে ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র বা ইসরো এবং রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা গ্লাভকসমসের মধ্যে একটি মউ স্বাক্ষরিত হয়। তার পর সম্ভাব্য অন্য মহাকাশচারীদের সঙ্গে রাশিয়ার ইউরি গ্যাগারিন কসমোনট ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই চার জনকেও। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ চলে।গত ২১ অক্টোবর সফল মহড়া হয় গগনযানের। সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে গগনযান। এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে মহাকাশচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। গগনযান মিশনের লক্ষ্য মহাকাশচারীদের পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে নিয়ে যাওয়া। মিশন সফল হলে ভারতই হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চিনের পর চতুর্থ দেশ যারা সফল ভাবে মহাকাশচারীদের পাঠাতে সক্ষম হবে।