• facebook
  • twitter
Thursday, 28 November, 2024

চিন্ময় কৃষ্ণের আন্দোলনকে বিপথগামী দাবি করে তাঁকে বহিষ্কার করল ইসকন

চিন্ময়কৃষ্ণের বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে তাঁর ব্যক্তিগত। ইসকন কোনও ধরনের সাম্প্রদায়িক বা সংঘাতমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়। এবং ভবিষ্যতেও জড়াবে না।

গ্রেপ্তারের পর বাংলাদেশের আদালতে প্রভু চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। ফাইল চিত্র

চিন্ময় কৃষ্ণের আন্দোলনকে বিপথগামী বলে অভিযোগ করে তাঁকে বহিষ্কৃত করল ইসকন। চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণের সঙ্গেই বহিষ্কার করা হয়েছে প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ ধামের লীলারাজ গৌরদাস এবং সদস্য গৌরাঙ্গ দাসকে। বৃহস্পতিবার এই আধ্যাত্মিক সংস্থার কলকাতার সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, চিন্ময়কৃষ্ণের আন্দোলনের সঙ্গে ইসকনের কোনও সম্পর্ক নেই।

ইসকন তার বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, আগেই জানানো হয়েছিল, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ইসকনের মুখপাত্র নন। তাই তাঁর বক্তব্যের দায় বাংলাদেশ ইসকনের নয়। চিন্ময়কৃষ্ণের বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে তাঁর ব্যক্তিগত। ইসকন কোনও ধরনের সাম্প্রদায়িক বা সংঘাতমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়। এবং ভবিষ্যতেও জড়াবে না। সরকার এবং দেশবাসীর প্রতি ইসকন বাংলাদেশ আহ্বান জানিয়েছে, সংগঠন সম্পর্কে কোনোপ্রকার অপপ্রচারে কান না দিতে।

প্রসঙ্গত ইসকনকে জঙ্গি সংগঠন আখ্যা দিয়ে তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি উঠেছে বাংলাদেশের হাইকোর্টে। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি। এদিন বাংলাদেশ সরকারকে ইসকন সম্পর্কে অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছে আদালত। ঢাকা হাইকোর্টে ইসকন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান জানানোর আগে চিন্ময়কৃষ্ণকে নিয়ে ইসকনের এই বিবৃতি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে ইসকনের এই বিবৃতিতে ভারত সরকারের বিদেশমন্ত্রক যথেষ্ট চাপে পড়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ মঙ্গলবার মোদী সরকারের বিদেশ মন্ত্রক চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার এবং জামিন না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করে। বিবৃতি দিয়ে কঠোর অবস্থান নেয় নয়াদিল্লি। পাল্টা বাংলাদেশ সরকার বিষয়টিকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দাবি করে।

কিন্তু কেন চিন্ময়কৃষ্ণকে বহিষ্কার করা হল? এবিষয়ে ইসকনের বক্তব্য কী? এ বিষয়ে ইসকন বাংলাদেশের তরফে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, আগেই জানানো হয়েছিল, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এবং আরও কয়েকজনের আন্দোলনে যুক্ত থাকার সঙ্গে ইসকনের কোনও সম্পর্ক নেই। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আন্দোলনে চিন্ময় কৃষ্ণের যুক্ত থাকাকে সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপ বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তনের পর ইসকনকে নিয়ে নানারকম অপপ্রচার শুরু হয়। এরজন্য চিন্ময়কৃষ্ণকে দায়ী করে তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।