• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

ইডির নতুন ডিরেক্টর হলেন আইআরএস অফিসার রাহুল নবীন

‘ভারপ্রাপ্ত’ রাহুল নবীনকেই ইডির স্থায়ী অধিকর্তা পদে নিয়োগ করল কেন্দ্র

ইডির পরবর্তী অধিকর্তা হচ্ছেন রাহুল নবীন। বুধবার কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে ১৯৯৩ ব্যাচের আইআরএস অফিসার নবীনের নাম এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) ডিরেক্টর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

২০২৩ সালে সেপ্টেম্বর মাস থেকে ইডির ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা পদে ছিলেন নবীন। এবার তাঁকে স্থায়ী অধিকর্তার পদে বসানো হল। পরবর্তী দু’বছর রাহুল নবীন ইডির অধিকর্তা পদে থাকবেন।

এর আগে ইডির স্থায়ী অধিকর্তা পদে ছিলেন সঞ্জয়কুমার মিশ্র। ২০২৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তাঁর মেয়াদ শেষ হয়। সেই সময় ইডির বিশেষ অধিকর্তা পদ থেকে ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা পদে উন্নীত করা হয়েছিল তাঁকে।

এরপর থেকে ১৯৯৩ ব্যাচের আইআরএস নবীন অধিকর্তার দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। ইডির সদর দফতরে প্রধান ভিজিল্যান্স অফিসার দায়িত্ব সামলেছেন নবীন।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন মামলার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এসবের মাঝেই ইডিতে বড় পরিবর্তন করা হল।

ইডি বর্তমানে দেশের ১২০ জনেরও বেশি নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে, যার মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশই বিরোধী দলের। রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাটি প্রায়শই বিরোধী দলগুলির তোপের মুখে পড়েছে।

২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ইডির ডিরেক্টর পদে নিয়োগ করা হয়েছিল সঞ্জয়কুমার মিশ্রকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ছিল দু’বছরের। কিন্তু তিনবার তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, ইডির ডিরেক্টর পদে সঞ্জয়ের কাজের মেয়াদ নতুন করে আর বাড়ানো যাবে না।

কিন্তু সঞ্জয়কে ধরে রাখার জন্য ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন আইন এবং দিল্লি স্পেশাল পুলিশ আইনে পরিবর্তন আনে মোদী সরকার।

সেখানে বলা হয়, কেন্দ্র চাইলে ইডি অধিকর্তার মেয়াদ তিন বছর করতে পারে। অবশ্য এই বিধির বিরোধিতা করে অনেক বিরোধী নেতা-নেত্রীই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।