রাষ্ট্রসঙ্ঘে ইরানের রাষ্ট্রদুত অভিযােগ করেছেন, তাদের এক সর্বোচ্চ পদাধিকারী সামরিক ব্যক্তিকে হত্যা ‘যুদ্ধ ঘােষণার সামিল’। ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হানায় ইরানের কুদস ফোর্স কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সােলেমানির মৃত্যুর ফলে ইরান-আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে।
যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডােনাল্ড ট্রাম্প বারবার সংবাদ মাধ্যম ও অন্য মাধ্যমে বার্তা পাঠাচ্ছেন তিনি যুদ্ধ চান না। ইরানের রাষ্ট্রদূত মজিদ তখত্ রাভাঞ্চি বলেছেন, এই ঘটনা আমেরিকার ইরানের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘােষণাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের এক সর্বোচ্চ পদাধিকারী জেনারেলকে হত্যা করে যুদ্ধ শুরু করেছে। এর ফলে ইরান পক্ষান্তরে কী ব্যবস্থা নিতে পারে? আমরা চুপ করে থাকতে পারি না। আমাদের এর জবাব দিতে হবে এবং দেবও। কারণ তিন তারিখ রাতে যে ঘটনা ঘটেছে তার প্রতিক্রিয়ায় আমরা চোখ বুজে থাকতে পারি না। অবশ্যই আমরা এর প্রতিশােধ নেব, এবং তা খুবই মারাত্মক প্রতিশােধ।
কোনও দেশের সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানই করা হবে। কে নেবে, কখন নেওয়া হবে, কোথায়? তা ভবিষ্যতেই প্রত্যক্ষ করা যাকে একথা ঘােষণা করেই রাষ্ট্রদূত টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকার শেষ করে দেন। এর উত্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডােনাল্ড ট্রাম্প মিয়ামিতে ইভানজেলিক্যাল সমর্থকদের জানান, সােলেমানি মার্কিন নাগরিকদের বিরুদ্ধে একাধিক বড় ধরণের আক্রমণের পরিকল্পনা করছিলেন।