• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ জানিয়ে দিল ভারত

নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এবার নাক গলালাে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব নিয়ে কোনও বিদেশি সংগঠনের হস্তক্ষেপ থাকতে পারেনা।

এনআরসি-সিএবি'র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। (File Photo: Kuntal Chakrabarty/IANS)

নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এবার নাক গলালাে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। তবে তা নিয়ে নিজেদের বক্তব্য স্পষ্ট করল ভারত। সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সংশােধিত নাগরিকত্ব নিয়ে কোনও বিদেশি সংগঠনের হস্তক্ষেপ থাকতে পারেনা। সিএএ-এর যৌক্তিকতা নিয়ে সুপ্রিম দ্বারে মামলা চলছে।

এর আইনি বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে কেউ নিরপেক্ষভাবে কেউ আবার বিশেষ কোনও সংগঠনের পক্ষ থেকে মামলা করেছে। এবার নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফেলল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। সিএএ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা চলছে সেখানে সেখানে তৃতীয় পক্ষের ভূমিকায় থাকতে চায় রাষ্ট্রসঙ্ঘ। তবে রাষ্ট্রসঙ্ঘ এই আবদার সুস্পষ্টভাবে নাকোচ করে দিয়েছে ভারত।

দেশের তরফ থেকে কড়া বার্তায় দিয়ে জানানাে হয়েছে, সংশােধিত নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়। বিদেশের কোনও সংগঠনেরই ভারতের সার্বভৌমিকত্ব নিয়ে জড়িত থাকা কোনও বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনও অধিকার নেই। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদকে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিল ভারত।

সিএএ আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকেই গােটা দেশ জুড়ে বিরােধ বিক্ষোভ অব্যাহত। এই আইন নিয়ে কোণঠাসা কেন্দ্রের শাসক গােষ্ঠি। সুপ্রিম কোর্টেও এখনও নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে একাধিক মামলা চলছে। বিরােধী দলগুলি এককাট্টা হয়ে এই আইনের প্রতিবাদ করায় মােদি-শাহ জুটি নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।

এই পরিবেশে সুপ্রিম কোর্টের মামলাগুলিতে তৃতীয় পক্ষের ভূমিকায় থাকার অবেদন দাখিল করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার সংস্থা। বিষয়টি সামনে আসার পরেই সরাসরি তাদের এই আবেদন খারিজ করে দেয় সরকার। বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সংশােধিত নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয় এবং এটি আইন প্রণয়ণকারী সংসদের সার্বভৌম অধিকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ভারতের সার্বভৌমিকতার কোনও বিষয়ের সঙ্গে বিদেশি পক্ষের হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই।

প্রসঙ্গত, সিএএ-এর বিরােধিতায় সুপ্রিম দ্বারে আবেদন জানিয়ে চলছে ১৪৩’টি মামলা। এই আবেদনের মধ্যে দেশের প্রথম সারির বিরােধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ছাড়াও রয়েছে ডিএমকে, ইন্ডিয়ান মুসলিম লিগ, বাম সংগঠনগুলি।