• facebook
  • twitter
Tuesday, 1 April, 2025

জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি অভিযান

আরও ২ জঙ্গি এবং ১ পুলিশকর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় গুলি যুদ্ধে শনিবার আরও ২ সন্দেহভাজন পাকিস্তানি জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয়। শনিবার কাঠুয়া জেলার প্রত্যন্ত জঙ্গলে ঘেরা এলাকা থেকে ১ জন পুলিশকর্মীর মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। এই এলাকায় তল্লাশি অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, রাজবাগের ঘাট জুথানা এলাকা থেকে হেড কনস্টেবল জগবীর সিংহের দেহ উদ্ধার করে জম্মুতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যে ২ পাকিস্তানি জঙ্গির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁরা নিষিদ্ধ সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

 হিরানগর সেক্টরের সানিয়াল গ্রামের প্রাথমিক এনকাউন্টার এলাকা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাজবাগের ঘাট জুথানার জাখোল গ্রাম। এখানেই শনিবার তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সূত্রের খবর, সন্দেহ করা হচ্ছে এই এলাকায় আরও জনা তিনেক জঙ্গি আত্মগোপন করে থাকতে পারেন। সানিয়াল থেকে থেকে ডিং আম্ব পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার জুড়ে বড় ধরণের তল্লাশি অভিযান চলছে। শুক্রবার, জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি নলিন প্রভাত নিশ্চিত করেন যে, গুলি যুদ্ধে জড়িত সন্ত্রাসবাদীরা একই গোষ্ঠীর, যাঁদের আগে সানিয়াল গ্রামে আটক করা হয়েছিল। তল্লাশি অভিযান চালানোর পাশাপাশি জম্মু-পাঠানকোট জাতীয় মহাসড়ক বরাবর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে ডিজিপি জানিয়েছেন যে, এই অঞ্চলের সমস্ত সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে চূড়ান্তভাবে মোকাবিলা না করা পর্যন্ত বাহিনী তাদের অভিযান অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের প্রতিবেশী দেশ এবং তার সংগঠনগুলির সঙ্গে যথাযথভাবে মোকাবিলা করা না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ঘুমাব না বা বিশ্রাম নেব না। এই যুদ্ধ চলছে এবং চলবে।’ ডিজিপি আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনও দুর্বলতা থাকবে না।’
ডিজিপি অভিযানে নিহত সন্ত্রাসবাদীদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিও দূর করেন। তিনি স্পষ্ট জানান যে, মাত্র ২ জন পাকিস্তানি জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের একটি ছায়া সংগঠন পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট এই এনকাউন্টারে জড়িত থাকার দাবি করেছে বলে জানা গিয়েছে।
 
জঙ্গিদের খোঁজে একসঙ্গে অভিযানে নেমেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সেনা, এনএসজি, বিএসএফ এবং সিআরপিএফ। অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সাফাইয়া’। পুলিশ সূত্রে খবর, তল্লাশি অভিযানের সময় সেনার ‘রাইজ়িং স্টার কোর’ ২ জঙ্গির নিকেশ হওয়ার খবর জানায়। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং বিস্ফোরকও উদ্ধার হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, জঙ্গল থেকে এক পুলিশকর্মীরও দেহ উদ্ধার করেছে বাহিনী।
 
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় জঙ্গিদের। শুক্রবার পর্যন্ত সেই সংঘর্ষ চলে। এই ঘটনায় চার পুলিশকর্মী নিহত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে অনুপ্রবেশকারী দুই জঙ্গির। বাকি জঙ্গিরা কাঠুয়ার জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। সেই জঙ্গলকে ঘিরে একজোট হয়ে অভিযানে নেমেছে পুলিশ এবং সেনার সঙ্গে এনএসজি, বিএসএফ ও সিআরপিএফের বাহিনী। হেলিকপ্টার, ড্রোন, স্নিফার ডগ- সমস্ত কিছু সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি অভিযান চলছে।