মানবতার রক্ষায় ভারতীয় সেনার নাম আজ বিশ্বজোড়া। আমরা লক্ষাধিক সেনার বলিদান কখনও ভুলতে পারি না বলে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শনিবার কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি স্মারক অনুষ্ঠানে বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি।
দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি ইন্ডাের স্টেডিয়ামে কার্গিল যুদ্ধের বিংশতিতম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে মােদি আরও বলেন, কার্গিল যুদ্ধের সময় পাকিস্তান আমাদের সীমানা নতুন করে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আমরা সেটা হতে দিইনি। কার্গিলে পাকিস্তানের বিশ্বাসঘাতকতাকে আমরা পরাজিত করেছিলাম।
Advertisement
কার্গিল বিজয় আসলে আমাদের পুত্র-কন্যাদের বিজয়, এই বিজয় ভারতের ধৈর্য এবং শক্তির। এটি ভারতের পবিত্রতা এবং অনুশাসনের বিজয়। কার্গিল বিজয় প্রত্যেক ভারতীয়র প্রত্যাশার বিজয়।
Advertisement
এরপর মেদি জানান, ক্ষমতায় আসার অব্যবহিত পরেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম শহিদদের সন্তান সন্ততিতের জন্য স্কলারশিপ আরও বৃদ্ধি করব। ২০ বছর আগে যখন পাকিস্তানের সঙ্গে কার্গিল যুদ্ধ চলছিল, তখন আমি সেখানে গিয়েছিলাম। সেটা আমার কাছে তীর্থস্থানের মতাে মনে হয়েছিল। সেই যুদ্ধের বাতাবরণে দেশের প্রত্যেক নাগরিক তখন সেনার পাশে দাঁড়িয়েছিল।
মােদি বলেন, ২০ বছর আগে কার্গিলের বরফ মােড়া উচ্চতায় ভারতের যে বিজয়গাথা রচিত হয়েছিল তা আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে। সরকার কোনও যুদ্ধ লড়ে না, যুদ্ধ লড়ে সারা দেশ সরকার ক্ষমতায় আসে এবং ক্ষমতা থেকে সরেও যায় কিন্তু যারা দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন করেন, তারা স্থায়ীভাবে মানুষের মনে জায়গা করে নেন।
এই উপলক্ষে আমি সেই সব বীরদের শ্রদ্ধা জানাতে চাই, যাঁরা তাদের রক্তের বিনিময়ে কার্গিলের উচ্চতায়। আমাদের তেরঙ্গাকে উপড়ে ফেলার ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিয়েছিলেন।
মােদি বলেন, আমি সেই সাহসী মায়েদেরও শ্রদ্ধা জানাই, যাঁরা এই বীরেদের জন্ম দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস হিসেবে প্রতিবছর উদযাপিত হয়। ১৯৯৯ সালে কার্গিলে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে জয়ী হয়েছিল ভারত। ভারতীয় সেনা চলতি বছরে কার্গিলে ভারতের বিজয়-অপারেশনকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করেছে কারণ এই বছরেই পূর্ণ হয়েছে কার্গিল বিজয়ের বিংশতিতম বছর।
Advertisement



