• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ভারতের ভূখণ্ড কাচাথিভু দ্বীপ শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দিয়েছিল কংগ্রেস, নয়া অস্ত্রে শান মোদির 

দিল্লি, ৩১ মার্চ – লোকসভা নির্বাচনের মুখে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দাবি করলেন, ১৯৭৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি ভারতের অংশ শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দিয়েছিল। যার ফল আজও ভুগতে হচ্ছে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের। মোদির সাফ কথা, ভারতের অখণ্ডতার সঙ্গে আপস করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসকে কোনওভাবেই বিশ্বাস করা যায় না। ভারতের ভূখণ্ড কাচাথিভু দ্বীপ শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দিয়েছিল

দিল্লি, ৩১ মার্চ – লোকসভা নির্বাচনের মুখে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দাবি করলেন, ১৯৭৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি ভারতের অংশ শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দিয়েছিল। যার ফল আজও ভুগতে হচ্ছে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের। মোদির সাফ কথা, ভারতের অখণ্ডতার সঙ্গে আপস করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসকে কোনওভাবেই বিশ্বাস করা যায় না।

ভারতের ভূখণ্ড কাচাথিভু দ্বীপ শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দিয়েছিল কংগ্রেস।  রবিবার একটি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টার উদ্ধৃতি করে এই অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জোরের সঙ্গে জানিয়েছেন, ‘নতুন তথ্যগুলি প্রকাশ করছে কীভাবে কংগ্রেস নির্লজ্জভাবে কাচাথিভুকে তুলে দিয়েছে। প্রতিটি ভারতীয় এতে ক্ষুব্ধ।  জনগণ বুঝতে পারছে কংগ্রেসকে বিশ্বাস করা যায় না।  ৭৫ বছর ধরে কংগ্রেস ভারতের ঐক্য, অখণ্ডতা এবং স্বার্থকে দুর্বল করেছে।’   

সম্প্রতি একটি আরটিআইয়ের উত্তর প্রকাশ্যে এসেছে। যাতে ভারত সরকার জানিয়েছে অধুনা যে কাচাথিভু দ্বীপটি শ্রীলঙ্কার জলসীমায় পড়ছে, সেই কাচাথিভু দ্বীপ একসময় তামিলনাড়ুর অংশ ছিল। ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা গান্ধির নেতৃত্বে ভারত সরকার ১৬৩ একরের ওই দ্বীপটি শ্রীলঙ্কার হাতে ‘মৈত্রীর উপহার’ হিসাবে তুলে দেয়। যদিও কাচাথিভু-তে সেই সময় কেউ বাস করতেন না, কিন্তু কৌশলগত দিক থেকে এই দ্বীপটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় মৎস্যজীবীদের জন্যও এই দ্বীপ খুবই জরুরি।

সেই আরটিআইয়ের রিপোর্টই প্রকাশ্যে এনেছেন মোদি। তামিলনাড়ুর বিজেপি প্রধান কে আন্নামালাই তথ্যের অধিকার বা আরটিআই আবেদন করেছিলেন, সেই তথ্যেই জানা যায়  ইন্দিরা গান্ধির সরকার কীভাবে ভারতের জমি শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দিয়েছিল। আরটিআই রিপোর্টকে “চোখ খোলা ও চমকে দেওয়ার মতো” বলেই উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ।

লোকসভা নির্বাচনে যে কাচাথিভু দ্বীপ বড় ইস্যু হতে চলেছে, তা কয়েক মাস আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী । স্বাধীনতা লাভের পরই এই  দ্বীপ নিয়ে নিজেদের দাবি জানাতে শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। সেইসময় শ্রীলঙ্কার তরফে বলা হয়েছিল, দ্বীপরাষ্ট্রের অনুমতি ছাড়া কাচাথিভু দ্বীপে সামরিক মহড়া চালাতে পারবে না ভারতীয় নৌসেনা। ১৯৫৫ সালে তৎকালীন সিলন বায়ুসেনা মহড়া চালিয়েছিল এই দ্বীপে। যা নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত। ১৯৬১ সালের ১০ মে কাচাথিভু দ্বীপের বিষয়টি তুচ্ছ বলে উল্লেখ করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। তিনি লিখেছিলেন, ‘এই ছোট্ট দ্বীপের ক্ষেত্রে কোনওরকম গুরুত্ব দেখতে পাচ্ছি না আমি।’  বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে ইন্দিরা গান্ধি  শ্রীলঙ্কার হাতে এই দ্বীপটি তুলে দিয়েছিলেন।

নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মোদির এই নয়া আক্রমণ তাৎপর্যপূর্ণ। পুরনো বিষয়কে তুলে এনে প্রধানমন্ত্রী আরও একবার বুঝিয়ে দিতে চাইলেন জাতীয় সংহতির ব্যাপারে অন্তত কংগ্রেসকে বিশ্বাস করা যায় না। তাছাড়া প্রতিবছর তামিলনাড়ুর বহু মৎস্যজীবী ওই কাচাথিভু দ্বীপে গিয়ে শ্রীলঙ্কার নৌসেনার গুলিতে প্রাণ হারান, শ্রীলঙ্কার হাতে আটক হন। তামিলনাড়ুতে এই ধরনের মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যের সংখ্যাটা বহু। এই ইস্যুকে সামনে টেনে এনে তাঁদের ভোটব্যাঙ্ককেও নিশানা করলেন মোদি।