• facebook
  • twitter
Friday, 29 November, 2024

ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার কমে ৫.৪%, তবে চিনের আগে ভারত

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উৎসবের মরসুম এবং সরকার ঘোষিত নানাবিধ প্রকল্প আগামী ত্রৈমাসিকে কিছুটা প্রবৃদ্ধি বাড়াতে পারে। তবে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি এবং বিশ্ব অর্থনীতির ঝুঁকি এখনও ভারতের অর্থনীতির জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকছে।

প্রতীকী ছবি।

নিম্নগামী হওয়ার পূর্বাভাস মিলেছিল আগেই। ভারতের মোট ঘরোয়া উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধির হার চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সময়কালে ৫.৪ শতাংশে নেমে এসেছে, যা প্রায় মধ্যে সর্বনিম্ন। শিল্প উৎপাদন ও খনন খাতে দুর্বল বৃদ্ধি এবং শহুরে মানুষের ব্যয়ের মন্থরতা এই মন্দার প্রধান কারণ বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিস (এনএসও)।
শুক্রবার ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিস (এনএসও) প্রকাশিত তথ্য বলছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ভারতে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৫.৪ শতাংশ। গত আড়াই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) একই ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ছিল ৮.১ শতাংশ। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৭ শতাংশ।
এর আগে অতিমারি-পরবর্তী পর্যায়ে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৪.৩ শতাংশ। প্রসঙ্গত, গত অর্থবর্ষের প্রথম তিনটি ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি বেড়েছিল ৮ শতাংশের বেশি। শেষটিতে ছিল ৮ শতাংশের কাছাকাছি। তার পরেই চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে, অর্থাৎ গত এপ্রিল-মে-জুনে বৃদ্ধির হার নেমে আসে ৬.৭ শতাংশে। এ বার তা আরও নিম্নগামী হল।

তবে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে চিনের জিডিপি বৃদ্ধি ৪.৬ শতাংশ হওয়ায় ভারতই রয়ে গেল আন্তর্জাতিক লেখচিত্রে পয়লা নম্বরে। যদিও ভারতের তুলনায় চিনের অর্থনীতির কলেবর অনেক বড়। ফলে বৃদ্ধির হারের শতাংশের হিসাবে সামগ্রিক ভাবে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন সম্ভব নয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উৎসবের মরসুম এবং সরকার ঘোষিত নানাবিধ প্রকল্প আগামী ত্রৈমাসিকে কিছুটা প্রবৃদ্ধি বাড়াতে পারে। তবে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি এবং বিশ্ব অর্থনীতির ঝুঁকি এখনও ভারতের অর্থনীতির জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকছে।