সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বালাকোট হামলার পর ফের দুঃসাহসিকতা প্রদর্শন করল ভারতীয় সেনা- পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নীলম উপত্যকায় সীমান্তরেখা লাগােয়া তঙ্গধর সেক্টরে চারটি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করল ভারতীয় সেনার গােলন্দাজ বাহিনী।
ঘটনায় চার-পাঁচজন পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে। জখম প্রচুর। পাক সেনা গতকাল রাতে ভারতীয় চৌকি লক্ষ্য করে তঙ্গধর সেক্টরে গুলি ছোঁড়ে। ভারতীয় সেনা পাল্টা গুলি চালায়। পাকিস্তানের ছোঁড়া গুলিতে দু’জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। একজন স্থানীয় গ্রামবাসীরও মৃত্যু হয়। তারপরই নীলম উপত্যকায় পাক জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে গােলন্দাজ বাহিনী হামলা চালিয়ে বেশিরভাগ ঘাঁটি গুড়িয়ে দেয়। জঙ্গি ঘাঁটিগুলির নিরাপত্তায় মােতায়েন পাক সেনারা নিহত হন।
পুলওয়ামা হামলার পর ভারতীয় বায়ুসেনা বালাকোটে হামলা চালিয়েছিল। যদিও বালাকোট হামলা ও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সঙ্গে নীলম উপত্যকায় জঙ্গি ঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়ার কোনও তুলনা করা চলে না- পাক সেনাকে কড়া বার্তা দিতে একটা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যা জঙ্গি মদতকারী পাকিস্তানকে সতর্ক করার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। পাকিস্তানকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, ওদের সমস্ত গােপন কার্যকলাপ ও গান পয়েন্টের ওপর নজরদারি চলছে। তবে জঙ্গি কার্যকলাপের কোনও গন্ধ পাওয়া গেলে ফের নিশানা করা হবে।
পাকিস্তান ওই গুড়িয়ে যাওয়া জঙ্গি ঘাঁটি গুলাে থেকে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানাের চেষ্টা করছিল। তাদের লক্ষ্য, জম্মু ও কাশ্মীরে ঢুকে স্থানীয় পরিস্থিতিকে উত্তেজনাময় করে তােলা- উপত্যকা থেকে বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকে পাকিস্তান জঙ্গি ঢুকিয়ে পরিস্থিতিকে জটিলতম করে তােলার চেষ্টা করে চলেছে। যদিও ভারতীয় সেনা প্রতি মুহুর্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করতে সমর্থ হয়েছে।
ভারতের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত বলেন, ‘নীলম উপত্যকায় লস্কর-ই-তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিনের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি রয়েছে। ভারতীয় সেনা হামলা চালিয়ে তিনটি জঙ্গি ঘাঁটি গুড়িয়ে দিয়েছে। একটি জঙ্গি ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঘটনায় প্রচুর জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। প্রায় দশজন পাক সেনা নিহত হয়েছে’। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে পাঞ্জাবের আকাশে ড্রোণ শণাক্ত করা গেছে।