ভারতে হাইড্রোজেন ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি, হরিয়ানায় হবে ট্রায়াল

হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন চালুর পথে আরও ধাপ এগোল ভারত। এই অত্যাধুনিক ট্রেনটি শীঘ্রই হরিয়ানার জিন্দ এবং সোনিপাত রেলওয়ে স্টেশনগুলির মধ্যে পরীক্ষামূলক চালানো হবে। রেলওয়ের রিসার্চ, ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশন এই হাইড্রোজেন ট্রেনের নকশা তৈরি করেছে।

হাইড্রোজেন ট্রেনের এই ডিজাইনটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চূড়ান্ত করা হয়েছিল। এরপর থেকে ট্রেনের নির্মাণ কাজ চলছে। আগামী বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে এই ট্রেনের চূড়ান্ত ট্রায়াল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রেলওয়ের রিসার্চ, ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশনের ডিজি উদয় বোরওয়াঙ্কার বলেছেন, আরএসডিও ক্রমাগত নতুন এবং উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলিতে মনোনিবেশ করে। সড়ক পরিবহণে ইতিমধ্যেই হাইড্রোজেন জ্বালানির ব্যবহার সফল হয়েছে। রেলওয়েতে এই ব্যবস্থা এখনও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়নি।


হাইড্রোজের ট্রেনটিতে ৮টি যাত্রীবাহী কোচ থাকবে, যাতে ২৬৩৮ জন যাত্রী একবারে ভ্রমণ করতে পারবেন। ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি হবে ১০০ কিমি/ঘণ্টা। এছাড়া হাইড্রোজেন সিলিন্ডার, ফুয়েল সেল কনভার্টার, ব্যাটারি এবং এয়ার রিজার্ভের জন্য তিনটি বগি থাকবে। এই ট্রেনটি স্বল্প দূরত্বের ভ্রমণের জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে ট্রেনটির ইন্টিগ্রেশনের কাজ চলছে।

হাইড্রোজেন চালিত ট্রেনগুলি মোটর চালানোর জন্য হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের ফুয়েল ফ্যাক্টরি থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। জার্মানি এবং চিনের মতো দেশগুলি রেল পরিবহনে হাইড্রোজেন জ্বালানি নিয়ে কাজ করেছে। এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র জার্মানিতেই একটি সফল হাইড্রোজেন ট্রেন চালু আছে। ট্রেনটিতে মাত্র দুটি বগি রয়েছে।

ভারতের এই হাইড্রোজেন ট্রেনটিকে শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, পরিবেশ সুরক্ষার দিক থেকে একটি মাইলস্টোন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর লক্ষ্য গ্রিন এনার্জির ব্যবহার প্রচার করার। ট্রেনের নাম এখনও ঠিক হয়নি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল ইনোভেটিভ রেল এক্সপোতে এই ট্রেনের মডেলটি ‘নমো গ্রিন রেল’ নামে প্রদর্শিত হয়েছিল। আনুষ্ঠানিক নামটি ট্রেন লঞ্চের সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।