দিল্লি, ১৬ মার্চ – সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশের নিশানধারী জাহাজ এমভি আবদুল্লা। ভারত মহাসাগর থেকে বাণিজ্যতরীটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জলদুস্যরা। জাহাজে থাকা ২৩ জন নাবিককে পণবন্দি করা হয়। খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত সেই জাহাজটি উদ্ধারের জন্য ছুটে যায় ভারতীয় রণতরী। অপহরণের দুই দিন পর জলদস্যুদের পরাস্ত করে জাহাজটিকে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনা।
শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে নৌসেনার তরফে জানানো হয়, ‘গত ১২ মার্চ এমভি জাহাজটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। সেটিকে উদ্ধার করার জন্য ছুটে যায় ভারতীয় রণতরী। প্রথমে জাহাজের নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু জাহাজটি থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তার পরই সমুদ্রে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়। অবশেষে ১৪ মার্চ সকালে জলদস্যুদের কবল থেকে এমভিকে উদ্ধার করা হয়। সোমালিয়া উপকূলের কাছে সেটিকে আটকে দেওয়া হয়। জলদস্যুদের হাত থেকে সফলভাবে মুক্ত করা হয় পণবন্দিদের। জাহাজের সকল বাংলাদেশি নাবিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে।’ সূত্রের খবর, জাহাজটি অপহরণ করেছিল ১৫ থেকে ২০ জন জলদস্যু।
মঙ্গলবার সোমালিয়ার দিকে নিজেদের গোপন ডেরায় জাহাজটি নিয়ে যায় জলদস্যুরা। পণ্যবাহী জাহাজটি বাংলাদেশের শিল্পগোষ্ঠী কবির গ্রুপের মালিকানাধীন। ওইদিন সন্ধ্যায় এমভি আবদুল্লার নাবিক আসিফুর রহমান ফেসবুক পোস্ট জাহাজ অপহরণের কথা জানান। তিনি লেখেন, ‘‘সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আমরা আক্রান্ত। তবে সবাই সুস্থ ও নিরাপদ। আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন।’’ সেই সময় জাহাজটিকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে ভারতীয় নৌসেনা।
উল্লেখ্য, গত মাসেই সোমালিয়ার পূর্ব উপকূলে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল ইরানের নিশানধারী একটি মাছ ধরার জাহাজ। খবর পেয়েই সেটি উদ্ধারের জন্য পৌঁছে যায় নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সারদা। পাকিস্তানি ও ইরানীয় নাবিক মিলে মোট ১৯ জন ছিলেন জাহাজটিতে। জলদস্যুদের কবল থেকে সমস্ত নাবিককে নিরাপদে উদ্ধার করেন ভারতীয় নৌসেনার জওয়ানরা।