দিল্লি, ১৯ ফেব্রুয়ারি– ২০২০ সালের জুনে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল চিন ও ভারতীয় সেনার৷ সেই সংঘর্ষ এবার অন্যভাবে ঠেকাত প্রস্তুত ভারতীয় সেনা৷ এবার চিনকে জবাব দিতে আরও তৈরি ভারত৷ হাতাহাতিতে যদি চিনারা তাদের কুংফু বা উসু-র মতো মার্শাল আর্ট ব্যবহার করে, ভারতও জবাব দেবে দেশিয় মার্শাল আর্ট, ঘটকা, খুকরি নাচ বা কালারি পায়ত্তু দিয়ে৷
অরুণাচল প্রদেশের পূর্বদিকে কিবিথু এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে মোতায়েন আছে পঞ্জাব রেজিমেন্টের একটি দল৷ মেজর কার্তিক জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ওই এলাকার ভূখণ্ডের নিজস্ব বিশেষত্ব রয়েছে, নিজস্ব চ্যালেঞ্জ রয়েছে৷ টহলদারীতে বেরিয়ে খড়স্রোতা নদী, নালা, অবিরাম বর্ষণ, সুউচ্চ দূর্গম পাহাড়, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার মোকাবিলা করতে হয় তাঁদের৷ আর এই সকল চ্যালেঞ্জের মোরাবিলা করার শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজন৷ সেই কারণেই তাঁরা বিভিন্ন শারীরিক কসরতের অনুশীলন করেন৷ আর ইদানিং, তার মধ্যে যুক্ত হয়েছে মার্শাল আর্টস৷ ইউনিটের কমান্ডিং অফিসার, কর্নেল প্রিন্স রোহিত জানিয়েছেন, সামরিক চাকরিতে চ্যালেঞ্জ থাকবেই৷ প্রশিক্ষণ এবং মহড়ার মাধ্যমে সেই সকল চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ার জন্য তৈরি করা হয় সেনা সদস্যদের৷
সেদিন ভারতীয় বাহিনীর টহলদারী এলাকায় ঢুকে পড়ায়, চিন সেনাকে বাধা দিয়েছিল ভারতীয় বাহিনী৷ কোনও গোলাগুলি চলেনি৷ কিন্ত্ত, হাতাহাতি হয়েছিল দুই পক্ষের৷ পাহাডি় উপত্যকা থেকে, প্যাংগং হ্রদে পডে় গিয়ে মৃতু্য হয়েছিল অন্তত ২০ জন ভারতীয় সেনা সদস্যের৷ ভারতীয় অঞ্চলে অবৈধ অনুপ্রবেশের ফল কী হয়, সেদিন টের পেয়েছিল চিন সেনা৷ তবে, আসলে, গালওয়ানের ওই রক্তাক্ত সংঘর্ষের পরই ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন রেজিমেন্ট তাদের প্রশিক্ষণে যুক্ত করেছে বিভিন্ন শৈলির ভারতীয় মার্শাল আর্ট৷ সেনাবাহিনীর যে স্বাভাবিক শারীরিক অনুশীলনগুলি আগে চলত, সেগুলির সঙ্গেই যুক্ত করা হয়েছে বিভিন্ন ভারতীয় মার্শাল আর্ট৷ পঞ্জাব রেজিমেন্টের প্রশিক্ষণে সেনা সদস্যরা অনুশীলন করছেন ঘটকা৷ গোর্খা রেজিমেন্ট অনুশীলন করছে খুকরি নাচ৷ মাদ্রাজ রেজিমেন্ট অনুশীলন করছে কালারি পায়ত্তু৷ বিশেষ করে, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে মোতায়েন সেনা শিবিরগুলিতে চলছে মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ৷
