ভারতও যুদ্ধের পথ ছেড়ে শান্তির পথে হাঁটার কথা বলেছে রাশিয়াকে। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ওইদিন সকালে যুদ্ধ শুরু হওয়া মাত্রই ভারতের সাহায্য চেয়েছিলেন ভারতে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ইগোর পোলিখা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলার আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির ‘সুসম্পর্ক’ রয়েছে বলেই ওই আবেদন জানানো হয়েছিল।
বিকেল থেকেই শোনা যাচ্ছিল যেকোনও মুহূর্তে পুতিনকে ফোন করতে পারেন মোদি। ওইদিনই রাত ১১ টার পররুশ প্রেসিডেন্টকে হটলাইনে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, আলোচনার টেবিলে বসে ইউক্রেনের সঙ্গে যাবতীয় সংঘাত মিটিয়ে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
পুতিনকে নমোর পরামর্শ, রাশিয়া এবং ন্যাটোর মধ্যে চলা দীর্ঘদিনের সমস্যা হিংসায় নয়, আলোচনায় মিটবে। ইউক্রেনে বেজে উঠেছে যুদ্ধের সাইরেন।
বিনিদ্র রাত কাটছে কিয়েভ সহ পূর্ব ইউক্রেন। পশ্চিমাংশের একাধিক এলাকার কার্ফু জারি হয়েছে। প্রতিমুহূর্তে ঘোরালো হচ্ছে পরিস্থিতি।
জানা গিয়েছে, ১৩৭ জন ইউক্রেনিয়ান সেনা নিহত, ৩১৬ জন জখম। এহেন পরিস্থিতিতে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয় উদ্বিগ্ন আফগানিস্তানের তালিবান সরকার।
শুক্রবার তালিবানের পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনের পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে আফগানিস্তান আমিরশাহী। নাগরিক মৃত্য নিয় চিন্তিত আফগানিস্তানের সরকার।
দুপক্ষকেই যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছে আফগানিস্তান আমিরশাহী। কারও হিংসার পথ বেছে নেওয়া উচিত নয়।
আফগানিস্তান আমিরশাহী চাইছে , হিংসার পথ এড়িয়ে সমস্যা মিটুক তালিবদের দাবি, ‘রাশিয়া ইউক্রেন সংঘাতের ক্ষেত্রে আফগানিস্তান পক্ষপাতিত্ব করবে না।
আমাদের বিদেশ নীতি অনুযায়ী এক্ষেত্রে নিরপেক্ষ অবস্থান আমাদের। আমরা চাই, হিংসার পথ ছেড়ে আলোচনার টেবিলে বসুক দুই দেশ।
আলোচনার মাধ্যমেই শান্তি ফিরবে ওই দেশে। অন্যদেশের মতো আফগানিস্তানের পড়ুয়ারা ও আফগানিস্তানের নাগরিকরা ইউক্রেনে আটকে রয়েছেন।
তালিবানের তরফ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে এদিন জানানো হয়েছে ইউক্রেনে আটকে পড়া আফগান পড়ুয়া এবং অধিবাসীদের জন্য চিন্তায় আফগানিস্তান আমিরশাহী। দু’পক্ষকেই আফগান নাগিরকদের জন্য নিরাপত্তা প্রদানের আর্জি জানিয়েছে তালিব সরকার।