• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

মার্কিন কূটনীতিককে তলব করে ভারত বোঝাল কেজরিওয়াল প্রসঙ্গ অনৈতিক

দিল্লি, ২৭ মার্চ– আবগারি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলে যাওয়ার পর থেকেই রাজধানী সরগরম৷ তারসঙ্গেই সরগম বিশ্ব রাজনীতিও৷ তার প্রমাণ প্রথমে জার্মানি ও পরে মার্কিন তরফে কেজরিওয়াল প্রসঙ্গ টেনে মন্তব্য করা৷ তবে ভারতও দমবার পাত্র নয়৷ আর সেই কথাই বুধবার ভারত বুঝিয়ে দিলে মার্কিন কূটনীতিককে তলব করে৷ জার্মানির পর আমেরিকার

দিল্লি, ২৭ মার্চ– আবগারি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলে যাওয়ার পর থেকেই রাজধানী সরগরম৷ তারসঙ্গেই সরগম বিশ্ব রাজনীতিও৷ তার প্রমাণ প্রথমে জার্মানি ও পরে মার্কিন তরফে কেজরিওয়াল প্রসঙ্গ টেনে মন্তব্য করা৷ তবে ভারতও দমবার পাত্র নয়৷ আর সেই কথাই বুধবার ভারত বুঝিয়ে দিলে মার্কিন কূটনীতিককে তলব করে৷ জার্মানির পর আমেরিকার তরফে এই গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য করার ব্যাপারটি সাউথ ব্লক মোটেই ভালো চোখে দেখছে না তাই প্রমাণ হল এই তলবে৷ ইতিমধ্যেই ভারতের মার্কিন দূতাবাসের এক শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে৷

উল্লেখ্য, কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি ইসু্যতে তিনদিন আগে জার্মানির তরফে বলা হয়েছিল, তাঁরা আশা করছে ভারত সরকার এই ব্যাপারে বিচারবিভাগীয় স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে পদক্ষেপ করবে৷ আর এরপরই মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়েছে আমেরিকা৷ মার্কিন এক কূটনীতিক মন্তব্য করেছিলেন, তাঁরা পুরো ঘটনার ওপর নজর রাখছেন৷ এই ঘটনায় স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও দ্রুত আইনি পদক্ষেপের আশা করছেন৷ সূত্রের খবর, এই মন্তব্যের পরই আমেরিকার ওই কূটনীতিককে তলব করে নয়াদিল্লি৷ বুধবার দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় ৪০-৪৫ মিনিটের বৈঠক হয়৷ সর্বভারতীয় এক সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি নিয়ে কেন তিনি মন্তব্য করেছেন তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে ওই কূটনীতিকের কাছ থেকে৷ যদিও আর কোন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা সামনে আসেনি৷

আমেরিকার দূতাবাসের কার্যকরী সহকারী প্রধান গ্লোরিয়া বারবেনা কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন৷ এরপরই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে এই বিষয়ে নিন্দা করা হয়েছে৷ নয়াদিল্লির বার্তা, অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অভ্যন্তরীণ অখণ্ডতার বিষয়ে শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত৷ কূটনীতিকদের এই বিষয়টি মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ৷ নাহলে খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়৷
এর আগে জার্মান বিদেশ মন্ত্রকের মন্তব্যের কথা সামনে আসতেই সাউথ ব্লকের তরফে জার্মান রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল৷ তাকেও কড়া ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়৷ ভারতের ব্যপারে মন্তব্য করা তাদের এক্তিয়ার বিরুদ্ধ৷