‘বিদ্বেষপূর্ণ ও পক্ষপাতদুষ্ট’, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে মার্কিন রিপোর্টের কড়া সমালোচনায় ভারত

New Delhi: Official Spokesperson, Ministry of External Affairs Randhir Jaiswal briefs media, in New Delhi,Friday, April 12, 2024.(IANS/Video Grab)

ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার বাড়ছে। ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের ওই রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। এই রিপোর্টে ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে।  যদিও বৃহস্পতিবার ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম- এর এই রিপোর্টকে ‘বিদ্বেষপূর্ণ’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং সংস্থাটিকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট  রাজনৈতিক এজেন্ডা ‘ বলে অভিহিত করেছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

 রণধীর জয়সওয়াল আরও যোগ করেছেন যে, ‘তথ্যগুলিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে এবং ভারত সম্পর্কে একটি অনুপ্রাণিত বর্ণনা করা হচ্ছে।আমরা এই বিদ্বেষপূর্ণ রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করি, যা শুধুমাত্র ইউএসসিআইআরএফকে আরও অসম্মানিত করে।’
 
ইউএসসিআইআরএফকে ‘এই ধরনের এজেন্ডা চালিত প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য’ আহ্বান জানান জয়সওয়াল। এই সংস্থাটিকে ‘যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকারের সমস্যা মোকাবিলার ক্ষেত্রে আরও গঠনমূলকভাবে ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
 
এই রিপোর্টে স্বাধীনতার পর থেকে দেশে কীভাবে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বাড়ছে তা তুলে ধরা হয়েছে। আরও তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে ২০২৪ জুড়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর দ্বারা ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ছড়িয়ে পড়ছে। ধর্মের নাম হত্যা হচ্ছে। ধর্মীয় নেতাদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর এবং উপাসনালয় ভেঙে ফেলা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ঘটনাগুলি ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য ভারতের আইনি কাঠামোর পরিবর্তন এবং প্রয়োগ করা হচ্ছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, অভিন্ন নাগরিক আইনের উল্লেখ করা হয়েছে।
 
ইউ এস কমিশনের এই রিপোর্টের জবাবে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।