• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

৯৩.২৩% টিকা নিয়ে এখনও আমরা বিশ্বে পয়লা নম্বরে

হু-এর টিকাহীন শিশু জবাবে ভারতের তত্ত্ব দিল্লি, ২০ জুলাই– ২০২৪ এ দাঁড়িয়েও দেশে টিকাবিহীন হাজার-হাজার শিশু৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ও ইউনিসেফের যৌথ রিপোর্ট জানাচ্ছে ২০২২-এর তুলনায় ২০২৩ সালে টিকাকরণ থেকে বঞ্চিত একাধিক শিশু৷ এই বঞ্চিতদের হিসেব বলছে, বেশ কিছু দেশের চেয়ে ভারত শুধু পিছিয়েই নেই, ২০১৯-এর করোনা-পূর্ববর্তী সময়কার টিকাকরণ কর্মসূচির অ্যাচিভমেন্টও ছুঁতে পারা যায়নি ২০২৩

হু-এর টিকাহীন শিশু জবাবে ভারতের তত্ত্ব
দিল্লি, ২০ জুলাই– ২০২৪ এ দাঁড়িয়েও দেশে টিকাবিহীন হাজার-হাজার শিশু৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ও ইউনিসেফের যৌথ রিপোর্ট জানাচ্ছে ২০২২-এর তুলনায় ২০২৩ সালে টিকাকরণ থেকে বঞ্চিত একাধিক শিশু৷ এই বঞ্চিতদের হিসেব বলছে, বেশ কিছু দেশের চেয়ে ভারত শুধু পিছিয়েই নেই, ২০১৯-এর করোনা-পূর্ববর্তী সময়কার টিকাকরণ কর্মসূচির অ্যাচিভমেন্টও ছুঁতে পারা যায়নি ২০২৩ সালে৷ এমনকী, সদ্যোজাতদের বিভিন্ন টিকাকরণের ক্ষেত্রে ২০২৩-র পারফরম্যান্স গডে় ২% পয়েন্ট কমে গিয়েছে ২০২২-এর তুলনায়৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ও ইউনিসেফের এই যৌথ রিপোর্টে অস্বস্তিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷ যদিও বিতর্ক শুরু হতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেরি করেনি কেন্দ্র৷

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বক্তব্য, এই হিসেব পেশ করার সময়ে হু ও ইউনিসেফ ভারতের সুবিশাল জনসংখ্যার কথা বিবেচনাই করেনি! বাস্তব হলো, এত কিছুর পরেও পৃথিবীর বৃহত্তম টিকাকরণ কর্মসূচি সফল ভাবে পালন করে আসছে এ দেশ৷ অন্য যে কোনও দেশ সংখ্যার বিচারে ভারতের চেয়ে পিছিয়ে আছে এ ব্যাপারে অনেকটাই৷

গত সোমবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে ‘হু অ্যান্ড ইউনিসেফ এস্টিমেটস অফ ন্যাশনাল ইমু্যনাইজেশন কভারেজ’ প্রকাশ করা হয়৷ তাতে ১১৯টি দেশের গত পাঁচ বছরের জাতীয় টিকাকরণের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়৷ সেখানেই দেখা যায়, ভারতের এই করুণ অবস্থার কথা৷

বিস্তারিত রিপোর্টে হু ও ইউনিসেফ জানায়, অতিমারী শেষ হওয়ার আগে, অর্থাৎ ২০২১-এ টিকা না-পাওয়া শিশুর সংখ্যা যেখানে ছিল সারা দেশে ২৭ লক্ষ ৩০ হাজার, সেখানে অতিমারীর দাপট কমে আসায় ২০২২-এ জি়রো ডোজ চিল্ড্রেনের সংখ্যা সারা দেশে কমে দাঁড়ায় ৫ লক্ষে৷

কিন্ত্ত আশ্চর্যজনক ভাবে ২০২৩-এ সেই সংখ্যাটা ফের বেডে় দাঁড়ায় ১৬ লক্ষে৷ দেখা যায়, ডিপিটি ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে ২০২৩ সালে ভারতের কভারেজ (৯১%) সারা বিশ্বের গড় কভারেজের (৮৪%) তুলনায় বেশ খানিকটা বেশি হলেও, তা ভারতের ২০২২-এর কভারেজের (৯৩%) চেয়েই ২% কমে গিয়েছে৷

তবে হু-এর এই রিপোর্টের পর একেবারে তেড়েফুঁড়ে জবাব দিতে এগিয়ে এসেছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷ প্রথমে দ’দিন চুপ থেকে বিড়ম্বনা এড়ালেও বৃহস্পতিবার রাতে এ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷ একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে বিশ্বে নিজেদের পয়লা নম্বর দাবি করে বলা হয়, জিরো ডোজ চিল্ড্রেন সংক্রান্ত যে তথ্য পেশ করা হয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে, তা আদতে দেশের সার্বিক টিকাকরণ ব্যবস্থার অসম্পূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ ছবি৷ যে সব দেশের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, তাদের জনসংখ্যা ভারতের তুলনায় নগণ্য৷ অথচ ভারতের এই বিশাল জনসংখ্যার বিষয়টি আমলই দেওয়া হয়নি তুলনামূলক বিচারে!

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, সারা দেশে জনসংখ্যার তুলনায় এখন মাত্র ০.১১% জিরো ডোজ চিল্ড্রেন রয়েছে৷ এবং শিশুদের টিকাকরণের ক্ষেত্রে এ দেশই বিশ্বে পয়লা নম্বর৷ ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে দেশে সুসংহত টিকাকরণ হয়েছে ৯৩.২৩% শিশুর৷

বিশ্বের বৃহত্তম এই ভারতীয় টিকাকরণ ব্যবস্থার আওতায় রয়েছে ২ কোটি ৬০ লক্ষ শিশু এবং ২ কোটি ৯০ লক্ষ অন্তঃসত্ত্বা৷ প্রতি বছর ১ কোটি ২০ লক্ষ ইমু্যনাইজেশন সেশনে তাদের টিকা দেওয়া হয়৷ করোনার সময় থেকে ২০২৩ পর্যন্ত দেশের টিকাকরণ কর্মসূচি ‘মিশন ইন্দ্রধনুষ’-এর আওতায় ৫ কোটি ৪৬ লক্ষ শিশু ও ১.৩২ কোটি অন্তঃসত্ত্বাকে টিকা দেওয়া হয়েছে৷