রাষ্ট্রসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকে পাকিস্তানকে একহাত নিল ভারত। নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে কাশ্মীর ইস্যু তোলায় পাকিস্তানকে তিরস্কার করেছে ভারত। পাকিস্তানের এহেন পদক্ষেপ ‘ঘৃণ্য’ এবং ‘ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার কৌশল’ বলে উল্লেখ করেছে নয়াদিল্লি।
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ‘পরিবর্তিত পরিবেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নারী’ শীর্ষক বিতর্কে ভারতের প্রতিনিধি পার্ভাথানেনি হরিশ পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিয়েছেন। হরিশ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বার্ষিক বিতর্কে এই ধরনের রাজনৈতিক প্রচারের চেষ্টা ন্যক্কারজনক। ভুল মঞ্চে এটা উপস্থাপিত করা হচ্ছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানের মন্তব্যের পরই হরিশ পাকিস্তানের সংখ্যালঘু মহিলাদের অবস্থার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা ভালোভাবেই জানি যে সে দেশে (পাকিস্তান) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলাদের, বিশেষত হিন্দু, শিখ এবং খ্রিস্টানদের অবস্থা খুবই শোচনীয়।
পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশনের তথ্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আনুমানিক হাজার নারী প্রতি বছর অপহরণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ এবং জোরপূর্বক বিয়ের শিকার হচ্ছেন। অথচ পাকিস্তান সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না। আরও এগোতে পারতাম, কিন্তু এখানেই শেষ করছি।
নারীদের প্রতি অঙ্গীকার এবং শান্তি-নিরাপত্তা বজায় রাখার বিষয়টি উল্লেখ করে এই জাতীয় বিতর্কসভা আয়োজনের জন্য
সুইজারল্যান্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ভারত। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণের প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রতিনিধি হরিশ। শান্তিরক্ষা মিশনে মহিলাদের সমর্থন করার ক্ষেত্রে ভারতের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা তুলে ধরেন তিনি।
পঞ্চম বৃহত্তম সেনা প্রেরণকারী দেশ হিসেবে ভারত ২০০৭ সালে লাইবেরিয়ায় প্রথম মহিলা বাহিনী মোতায়েন করে, যা এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মহিলা বাহিনীর কাজ লাইবেরিয়া এবং রাষ্ট্রসংঘে প্রশংসা পেয়েছে।
হরিশ বলেন, ১০০ জনেরও বেশি ভারতীয় মহিলা শান্তিরক্ষী বর্তমানে বিশ্বব্যাপী কাজ করছেন। তিনটি টিমে শুধুমাত্র মহিলারাই রয়েছেন। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে বিশেষ পরিষেবা দেওয়ার জন্য ২০২৩ সালে রাষ্ট্রসংঘের মিলিটারি জেন্ডার অ্যাডভোকেট অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড পান মেজর রাধিকা সেন। তাঁর কথাও রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে উল্লেখ করেন হরিশ।