এখনও পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) অনুমোদন দেয়নি। তবুও রাশিয়ার তৈরি ভ্যাক্সিন টনিক ৫-এর ওপর ভরসা রেখেই এগোতে চাইছে ভারত সরকার। সেকারণে রাশিয়ার পাশাপাশি ভারতও সে দেশের ফর্মুলাতে তৈরি ঘোষিতভাবে প্রথম করোনা ভ্যাক্সিনের চুড়ান্ত পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এবং সেই সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য সরকারি স্তরে শুরু হল আলাপ আলোচনা।
আগামী দিনে চুক্তির মাধ্যমে যাতে রাশিয়ার ভ্যাক্সিন এদেশে আনা যায় তার জন্য সোমবার রাতে রাশিয়ায় ভারতের রাষ্ট্রদূত বালা ভেঙ্কটেশ ভার্মা বৈঠক করেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিক গুরেসিয়া এ সাইবেন্ধের সঙ্গে। দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
মস্কোতে ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্কের উন্নতিতে আর্মি ২০-২০ এক্সিজিবিশন চলছে। উল্লেখ্য, রাশিয়ার ক্যামেলিয়া ইনস্টিটিউট স্পুটনিক-৫ ভ্যাক্সিন তৈরির পুরো বিষয়টির তত্ত্বাবধান করছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে এই নিয়ে বৈঠক করেন রাশিয়ায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বালা ভেঙ্কটেশ ভার্মা।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে ভ্যাক্সিন সংক্রান্ত এটা দ্বিতীয় বৈঠক। এর আগের বৈঠকে স্থির হয়েছিল ভারত সরকারের সিল করে দেওয়া বেশ কয়েকটি ভারতীয় ওষুধ সংস্থার সঙ্গে রাশিয়া সরকারের চুক্তির মাধ্যমে ভারতে স্পুটনিক-৫-এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে।
এদিকে, ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন দাবি করছেন, আগামী ডিসেম্বর মাসের আগেই ভারতের বাজারে পাওয়া যাবে করোনার ভ্যাক্সিন। প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন বয়সের ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ও চিকিৎসক এবং সেনাকর্মীদের জন্য ৫০ লক্ষ ভ্যাক্সিন তৈরির ডোজের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। করোনা প্রতিষেধকের দ্বিতীয় স্তরের ট্রায়ালে রয়েছে ভারত বায়োটেক।