• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

‘ভারত বিশ্বকে বুদ্ধ উপহার দিয়েছে, যুদ্ধ নয়’

শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি রাষ্ট্রসঙ্ঘে সাধারণ সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বিশ্বকে 'শান্তি এবং সৌহার্দের' বার্তা পৌঁছে দিলেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। (File Photo: IANS)

শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি রাষ্ট্রসঙ্ঘে সাধারণ সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বিশ্বকে ‘শান্তি এবং সৌহার্দের’ বার্তা পৌঁছে দিলেন। তিনি বলেন, আজ মানবজাতির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল সন্ত্রাসবাদের মােকাবিলা করা। এর মােকাবিলা করতে গিয়ে আজ প্রয়ােজন বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। সন্ত্রাসবাদ সেইসব নীতিকে আঘাত করে, যার ভিত্তিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘ গড়ে উঠেছিল। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ভারত বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য লড়াইয়ে প্রথম সারিতে থাকতে বদ্ধপরিকর।

প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব নেতাদের জানিয়ে দেন, ভারত মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে যে প্রকল্পগুলি রূপায়ণ করেছে, তা উন্নয়নশীল দেশগুলিকে পথ দেখাবে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণের শুরুতেই মনে করিয়ে দেন, তিনি ১৩০ কোটি মানুষের প্রতিনিধি হয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘ নিজের বক্তব্য রাখতে পেয়ে ধন্য হয়েছেন। এটি তাঁর জন্য এক বিশেষ সুযােগ, কারণ চলতি বছরেই ভারত মহাত্মা গান্ধির ১৫০তম জন্মবার্ষিকী পালনে উদ্যোগী হয়েছে। তিনি বলেন, পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রে মানুষের বিশাল সমর্থন পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। যখন ভারতের মতাে উন্নয়নশীল দেশে ১১ কোটি শৌচালয় নির্মাণ করে দেয় সরকার তখন একটা ইতিবাচক বার্তা বিশ্বকে দেওয়া সম্ভব হয়।

যখন ৫০ কোটি মানুষকে বিমার আওতায় নিয়ে আসা হয় তখনও বিশ্বের কাছে একটা সদর্থক বার্তা পৌঁছােয়। যখন ভারত বিশাল সংখ্যক মানুষের আর্থিক উন্নয়ন করে তখনও বিশ্ব একটা সদর্থক বার্তা পায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি রাষ্ট্রসঙ্ঘে আসার সময় সেখানে একটা ব্যানার দেখেছেন, তাতে লেখা হছে ‘আর একবার ব্যবহারের প্লাস্টিক কখনও নয়।’

এই বার্তা দেখে খুব খুশি হয়েছেন মােদি বলে শ্রোতাদের জানিয়ে বলেন, ভারত ‘ফাস্ট ইউজ প্লাস্টিক’ নিষিদ্ধ করার জন্য প্রয়াস চালাচ্ছে। মােদি বলেন, ২০২২ সালের মধ্যে তাঁর সরকার ২ কোটি বাসস্থান তৈরি করে দেবে। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে এটাই হবে তাঁর সরকারের মানুষের জন্য উপহার।

মােদি জানিয়ে দেন যে, তাঁর সরকার শুধু ভারতীয়দের স্বার্থে কাজ করছে না, করছে সমগ্র বিশ্বের জন্য। তাঁর সরকারের স্লোগানই হল, সব কা সাথ, সব বিকাশ সব কা বিসওয়াস। তার সরকার লােক দেখানাের জন্য কাজ করে না, কাজ করে দায়িত্ববােধে উদ্বুদ্ধ হয়ে।

সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে বলতে গিয়ে মােদি বলেন, এখন সময় এসেছে যখন বিশ্বের সমস্ত দেশের উচিত সন্ত্রাসবাদের মােকাবিলা করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া, কারণ এটা মানবজাতির সামনে আজ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ভারত সারা বিশ্বকে গৌতমবুদ্ধ উপহার দিয়েছে, যুদ্ধ দেয়নি। সেই কারণে ভারত আজ সন্ত্রাসবাদের মােকাবিলার জন্য সর্বতােভাবে প্রস্তুত। স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্ব ধর্মসভায় শান্তি এবং সৌহার্দ্যের বাণী প্রচার করেছিলেন, বিভাজনের কথা বলেননি। আজও পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র বিশ্বের জন্য সেই বার্তাই প্রচার করে শান্তি এবং সৌহার্দ্য।