কানাডার সঙ্গে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছে। সীমান্তে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রক। এই আবহে ভারত তার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পারমাণবিক প্রতিরোধকে শক্তিশালী করতে চতুর্থ পারমাণবিক চালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন চালু করল। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর এই সপ্তাহে বিশাখাপত্তনমের শিপ বিল্ডিং সেন্টার থেকে সমুদ্রে নামানো হয়েছে ‘এস ৪’ কোড নামের এই সাবমেরিন।
নতুন চালু হওয়া ‘এস ৪’ পারমাণবিক এই সাবমেরিন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নীতিতে ৭৫ শতাংশ দেশীয় প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। ৩,৫০০ কিলোমিটার আঘাত হানতে পারে এমন ‘কে ৪’ পরমাণু মিসাইল বহনে সক্ষম এই জলযান বিশেষ লঞ্চিং ব্যবস্থার মাধ্যমে নিক্ষেপ করা যেতে পারে। যদিও এই গোত্রের প্রথম শ্রেণীর সাবমেরিন ‘আইএনএস আরিহন্ত’ ৭৫০ কিলোমিটার পাল্লার কে -১৫ পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র বহন করে। বর্তমানে ‘আইএনএস আরিহন্ত’ এবং ‘আইএনএস আরিঘাট’ উভয় সাবমেরিনই গভীর সমুদ্রে টহল দিচ্ছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তেলেঙ্গানায় একটি নেভাল স্টেশন চালু করেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, নয়া এই সাবমেরিনের এখনও কোনও সরকারি নাম ঠিক করা হয়নি আপাতত এর কোড নাম রাখা হয়েছে ‘এস ৪’। জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকের পারমাণবিক সাবমেরিন আইএনএস চক্রকে নামকরণ করেন এস-১ , এরপর আইএনএস আরিহন্তের নামকরণ হয়েছে এস-২, আইএনএস আরিঘাট এস-৩ এবং আইএনএস আরিধামান এস-৪। যদিও এর আনুষ্ঠানিক নামকরণ বাকি রয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৯ আগস্ট ভারতের দ্বিতীয় পারমাণবিক সাবমেরিন আইএনএস আরিহন্তকে যুক্ত করা হয় নৌবাহিনীতে। আগামী বছর ভারতের তৃতীয় পারমাণবিক সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাট নৌবাহিনীতে যুক্ত হবে। এরই মাঝে সমুদ্রে নামল দেশের চতুর্থ পারমানবিক সাবমেরিন।
চলতি বছরেই ভারতের পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরির প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত ৯ আগস্ট এই ইস্যুতে ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে এই বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় ।এর পরই সাবমেরিন তৈরির প্রকল্পে সবুজ সংকেত দেয় মোদি সরকার। চীনের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সমুদ্র প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের লক্ষ্য। এর উপর ভিত্তি করেই পারমাণবিক চালিত ব্যালিস্টিক মিসাইল ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে ভারত।