• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

‘অলস’ তালিকায় গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত

প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেকই ‘আনফিট’, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট দিল্লি, ২৭ জুন– ভারতীয়দের এমনিতেই একটু অলস বলে একটু দুর্নাম/সুনাম আছে৷ সেই দুর্নাম বা সুনামের যে ফল এবার সামনে এল তা কিন্তু মোটেই ভালো নয় আগামী দিনের জন্য৷ জানা গিয়েছে অর্ধেক ভারতীয়ই নাকি শারীরিক ভাবে আনফিট বা অচল৷ ঢাকঢোল পিটিয়ে এমনটাই জানিয়েছে ল্যানসেট গ্লোবাল হেল্থ জার্নাল৷ ল্যানসেটের চাঞ্চল্যকর

প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেকই ‘আনফিট’, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

দিল্লি, ২৭ জুন– ভারতীয়দের এমনিতেই একটু অলস বলে একটু দুর্নাম/সুনাম আছে৷ সেই দুর্নাম বা সুনামের যে ফল এবার সামনে এল তা কিন্তু মোটেই ভালো নয় আগামী দিনের জন্য৷ জানা গিয়েছে অর্ধেক ভারতীয়ই নাকি শারীরিক ভাবে আনফিট বা অচল৷ ঢাকঢোল পিটিয়ে এমনটাই জানিয়েছে ল্যানসেট গ্লোবাল হেল্থ জার্নাল৷ ল্যানসেটের চাঞ্চল্যকর সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেক শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ নন৷ ল্যানসেটের আরও দাবি, ভারতের অধিকাংশ মহিলা কায়িক পরিশ্রম থেকে দূরে থাকেন৷ এর ফলে তাঁদের শারীরিক অক্ষমতা ক্রমশ বাড়ছে৷

ল্যানসেট ২০২২ সাল অবধি একটি সমীক্ষা চালিয়ে তার এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ৷ যেখানে বলা হয়েছে, পুরুষ নারী নির্বিশেষে ভারতের ৫০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক শারীরিকভাবে ‘অক্ষম’৷ অন্যদিকে ৫৭ শতাংশ ভারতীয় মহিলা প্রয়োজন অনুযায়ী শারীরিক পরিশ্রম থেকে অনেকটা দুরে৷ ‘অলসতায়’ সামান্য ভালো ফল করেছেন পুরুষরা (৪২ শতাংশ)৷ অর্থাৎ কায়িক পরিশ্রমের নিরিখে ১৪ শতাংশ এগিয়ে ভারতীয় পুরুষরা৷ ‘অলস’ তালিকায় গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত৷ এশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরেই রয়েছে ভারত৷ এই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও সহমত৷

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, কায়িক পরিশ্রম না করার ফলে অসুখের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে৷ বিশেষত এর ফলে হূদযন্ত্রের অসুখে, ডায়বেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন কোটি কোটি মানুষ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও দাবি, কায়িক পরিশ্রম না করা, মানসিক চাপ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন আধুনিক যুগের সবচেয়ে বড় ‘মহামারী’৷ এর থেকে মুক্তি দিতে পারে বিনামূল্যের ওষুধ—শারীরিক পরিশ্রম৷

তবে যদি মেশিন নিয়ন্ত্রিত শহুরু সভ্যতার কথা বলা হয় তবে শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বই এস অভ্যেসে অলস৷ পৃথিবীর প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ (৩১.৩) প্রয়োজন অনুযায়ী কায়িক পরিশ্রম করেন না৷ আধুনিক বিজ্ঞান বলছে, এক সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মাঝারি পরিশ্রম করলে শরীর সুস্থ থাকে৷ অন্যদিকে এক সপ্তাহ কমপক্ষে ৭৫ মিনিট তীব্র শারীরিক পরিশ্রম জরুরি৷ কোনও পথেই পা বাড়ান না গোটা বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ আর্বান মানুষ৷ রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের তুলনায় পরিশ্রম করার প্রবণতা ৫ শতাংশেরও বেশি কমে গিয়েছে৷ ল্যানসেটের সমীক্ষা (২০০০-২০২২) বলছে, বিশ্বের ১৯৭টি দেশ এমন অসলতায় ভুগছে৷ ৬০ বছর কিংবা তার বেশি বয়সিরাও প্রয়োজন অনুযায়ী শারীরিক পরিশ্রম না করায় একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন৷